ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাতামুহুরীর ভাঙন নদীপাড়ে আতঙ্ক

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া (কক্সবাজার)
🕐 ৬:২২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী জনপদে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ে হাজারো পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে টানা অভিরাম ভারী বৃষ্টিপাতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি কমে যাওয়ার পরপর নদীর দুই তীরে বিভিন্ন পয়েন্টে শুরু হয় নদীর তীর ভাঙন।

এতে ভাঙনের কবলে পড়ে ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে অন্তত ৩০টি বসতঘর। বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর তীরবর্তী শত শত বসতঘর, দোকান-পাট, মসজিদ মাদরাসা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে নদীর এ ভাঙন আতঙ্কে এখনো নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে উপজেলার হাজারো পরিবার।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো.আলমগীর চৌধুরী বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে পৌরসভার বিভিন্ন জনপদে মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়। এতে অন্তত ১০-১২টি বসতঘর এবারের ঢলের পানিতে নদীতে তলিয়ে যায়। এখনো নদীর ভাঙনে চরম হুমকিতে রয়েছে পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল বারী পাড়া, ছাবেতপাড়া, চরপাড়া, কাজীরপাড়া, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তরছঘাটা, জলদাশপাড়া ও বাটাখালী সেতুর পয়েন্টসহ চারটি গ্রামের অন্তত শতাধিক বসতি।

তিনি আরও বলেন, নদীর এ ভয়াবহ ভাঙন উপক্রম থেকে বিভিন্ন স্থাপনাসমূহ ভাঙনরোধ নিরসনের জন্য চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত ওসমান বলেন, মাতামুহুরী নদী সৃষ্টির পর থেকে কাকারাবাসী নদীর ভাঙনের তান্ডবের কবলে পড়ে ইউনিয়নের হাজারো বসতি বিলীন হয়ে গেছে।

অতীতের ন্যায় এ বছর বর্ষাতে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার তান্ডবে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে এ ইউনিয়নের মাঝেরফাড়ি, কামাল মাস্টারের ঘাটা, রুদ্রপাড়াসহ আশপাশ এলাকার বিপুল জনবসতি। নদীর ভাঙনের কবল থেকে কাকারা জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী চকরিয়া শাখা কর্মকর্তা তারেক বিন সগীর বলেন, মাতামুহুরী নদীর ভাঙন প্রতিরোধে পাউবো ইতোমধ্যে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছেন। বিশেষ করে নদীর ঝুঁকিপুর্ণ পয়েন্টে বসানো হচ্ছে সিসি বক্লদ্বারা টেকসই স্পার।

 
Electronic Paper