সমস্যায় জর্জরিত নবীন চন্দ্র সেন পাঠাগার
ফেনী প্রতিনিধি
🕐 ৭:০৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
বিখ্যাত কবি নবীন চন্দ্র সেনের নামে ফেনীতে প্রতিষ্ঠিত গণগ্রন্থাগার নানা সমস্যায় জর্জরিত। পাঠাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল, পর্যাপ্ত বই নেই। নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় পাঠাগারের আশপাশে নিয়মিত বসে বখাটের আড্ডা।
সরেজমিন ঘুরে ও পাঠকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে শহরের কলেজ রোডে রাজাঝির দিঘির পূর্ব পাড়ে বিখ্যাত কবি নবীন চন্দ্র সেনের নামে গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পাঠকদের পড়ার জন্য উন্মুক্ত থাকে পাঠাগারটি। পাঠাগারে সাতটি আলমারিতে প্রায় ১৫শ বই রয়েছে। যার বেশিরভাগ পুরাতন। পাঠাগারে চারটি গোলাকার টেবিল থাকলেও মাত্র ১৫ থেকে ১৬ জন বসে পড়তে পারেন।
পাঠাগারে সাতটি জাতীয় বাংলা দৈনিক ও একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা রাখা হয়।
এছাড়া শহরের কিছু আঞ্চলিক পত্রিকা পড়ার সুযোগ রয়েছে পাঠকদের। বর্তমানে পাঠাগারে একজন ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও একজন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। তবে কোনো নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় আশপাশে নিয়মিত বসে বখাটের আড্ডা।
পাঠক কামাল উদ্দিন জানান, পাঠাগারটির সীমানা প্রাচীর না থাকায় বখাটেদের আড্ডার কারণে পাড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বখাটেদের ধূমপান ও হৈচৈ শব্দে পাঠাগারে বেশিক্ষণ বসা যায় না।
পাঠক নাবিন আফতায়ি বলেন, বইগুলোতে ধুলাবালি জমেছে। নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও যত্নের অভাবে অনেকগুলো বই নষ্ট হয়ে পড়েছে। ছেড়া বইগুলোর মধ্যে অধিকাংশই মূল্যবান। পাঠক নাফিসা আক্তার নিপু অভিযোগ করে বলেন, সড়কের পাশে পাঠাগার হওয়ায় গাড়ির শব্দ কানে আসে। যার ফলে বই পড়ায় মনোযোগ নষ্ট হয়। স্কুলছাত্রী তুশিকা মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, শিশুদের জন্য পাঠাগারে বই পড়ার এবং বসার আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই।
পাঠাগারে শিশুদের জন্য আলাদা কোনো সুযোগ সুবিধা নেই বলে জানালেন ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সৈকত আহাম্মেদও। তিনি বলেন, পাঠাগারে অর্থ স্বল্পতাসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা পেলে পাঠাগারের মান বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। পাঠাগারের পাঠক ও কর্মরত স্বেচ্ছাসেবকদের দাবি অচিরেই পাঠাগারটির সীমানা প্রাচীর স্থাপন করে বহিরাগতদের আড্ডা বন্ধ করলে বিখ্যাত কবি নবীন চন্দ্র সেনের নামে ফেনীতে নির্মিত গণগ্রন্থাগারে পাঠকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।