কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন যুবক নিহত
কুমিল্লা প্রতিনিধি
🕐 ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
কুমিল্লায় থানা ও ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশ দাবি, নিহতরা সবাই ডাকাত দলের সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় পাঁচটিরও বেশি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় বুড়িচং থানার ওসিসহ চার পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
রোববার রাত পৌনে ৩টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের কোমল্লা এলাকায় গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জেলার দেবিদ্বার উপজেলার চরবকর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে বাবুল (৩৯), ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপালনগর দিঘিরপাড় গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে এরশাদুল (২৬) এবং বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে অলি মিয়া (৪৩)।
জেলা ডিবির ওসি মো. মাঈন উদ্দিন খাঁন জানান, বুড়িচং উপজেলার কোমাল্লা গ্রামে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি এবং থানা পুলিশ ওই এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল হামলা চালায় এবং গুলি ছুড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকাতদলের তিন সদস্য আহত হয়।
পরে ওই তিনজনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড তাজা গুলি, এক রাউন্ড গুলির খোসা, একটি পাইপগান, পাঁচ রাউন্ড বন্দুকের তাজা গুলি, চার রাউন্ড খালি খোসা, ছয়টি কাঠের বাটযুক্ত ছোড়া ও রামদা, তিনটি মোবাইল, দুটি টর্চলাইটসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস, এসআই মোয়াজ্জেম, এএসআই গোলাম মহিউদ্দিন ও কনস্টেবল রফিক আহত হয়েছেন।
নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।