ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তিন বছরে টাকার কুমির সোনাগাজী পৌর মেয়র

ফেনী প্রতিনিধি
🕐 ৫:৩৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০১৯

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন ২০১৬ সালে পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সময় হলফনামায় বসতভিটা, স্ত্রীর গহনা ও ব্যাংক ব্যালেন্সসহ সর্বমোট ২০ লাখ টাকার সম্পদের বিবরণ জমা দিয়েছিলেন।

মেয়র নির্বাচিত হয়ে এপ্রিল ’১৬ এ দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর সোনাগাজী কাঁচা বাজারে দুটি পৌর মার্কেট বরাদ্দে অনিয়ম, বিনা টেন্ডারে পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজকরণ, টেন্ডারের আগেও প্রকল্পের উদ্বোধন, নির্মিত প্রকল্প পুনর্নির্মাণের নামে অর্থ লোপাট, প্রবাসীর ভূমি দখল ও মুহুরী সেচ প্রকল্প সংলগ্ন ফেনী নদীর পাড় দখলের অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র তিন বছরে নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় রাজউকের ৫ কাঠার প্লট ও সোনাগাজীতে ১১টি দলিলে ১০ একর এবং তার স্ত্রী তাসলিমা কাউছারের নামে পাঁচটি দলিলে ১৪ একর জমি ক্রয় করেন। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৬ কোটি টাকা।

২০১৬ সালে পৌর মার্কেটের ৪৮টি দোকান বরাদ্দের সময় নির্ধারিত জামানত ছাড়াও নিজ নামে দোকানপ্রতি ৩-৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত আদায় করেন এবং দোকানদারদের জামানতকৃত প্রায় দেড় কোটি টাকা নিজেই উত্তোলন করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন।

পৌরসভার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প টেন্ডারের আগেই উদ্বোধন, সড়কের নামে বিল পাস করে টাকা উত্তোলন, প্রকল্প নির্মাণ ব্যয়ের চেয়ে ১০ গুণ টাকায় ভাউচারসহ অনিয়মের অভিযোগে ২০১৭ সালে দুদকে অভিযোগ দেন কাউন্সিলর নুর নবী লিটন।

খোন্দকার গ্রামের নুর নবী বলেন, বড় ফেনী নদীর দু’পাড়ে জেগে ওঠা চর দখল করে মৎস্য খামার করেন মেয়র খোকন। ওই প্রকল্পের দু’পাশে আমার ১৭ একর জমি দখল করেন তিনি। বাধা দিলে নামমাত্র মূল্য দিয়ে দান দলিল সৃজনের মাধ্যমে মালিক তিনি।

মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, আমি পেশায় আইনজীবী। আইন পেশায় প্রাপ্ত অর্থ ও স্ত্রীর জমানো টাকায় জমি কিনেছি।

 

 
Electronic Paper