ভরা মৌসুমেও ইলিশের আকাল
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৮:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০১৯
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীতে ভরা মৌসুমে রুপালী ইলিশের দারুণ খরা যাচ্ছে। আষাঢ়, শ্রাবণ পেরিয়ে ভাদ্র মাস চলমান থাকলেও মেঘনা নদীতে বর্ষায় বেড়েই চলছে পানি। তবে থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি, কিন্তু দেখা নেই রুপালী ইলিশের। ফলে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা না পড়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে মেঘনার পল্লীর জেলে পরিবারগুলো।
এদিকে জেলেরা মেঘনার পাড়ে নৌকা জাল নিয়ে অলস সময় পার করছেন হতাশা নিয়ে। নদীতে মাছ না পাওয়ায় প্রায় ১০ হাজার জেলে পরিবার নিয়ে কাটাচ্ছে মানবেতর জীবনযাপন। গত মৌসুম গুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও এ মৌসুমে মেঘনা নদী থেকে জেলেরা ফিরছেন খালি হাতে।
উপজেলার মেঘনার পাড় এলাকার জেলে পল্লীর বাসিন্দা নূর উদ্দিন, নজু সৈইয়াল, কেরামত আলীসহ শতাধিক জেলে জানান, নদীতে মাছ শিকার করা তাদের নিত্যদিনের পেশা। বছরের পর বছর মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন এ পরিবারগুলো। তবে কেউ কেউ জানান, সকাল থেকে সারাদিন চেষ্টা করে সামান্য কিছু ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে জালে।
এতে দৈনিক খরচের তুলনায় আয় না হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা। তাছাড়া বিনিয়োগ করে লোকসান গুণছেন আড়ৎদার ও দাদন ব্যবসায়ীসহ এর সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া অল্প কিছু মাছ ধরা পড়লেও দাম অনেক বেশি। যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে।
উপজেলার মেঘানার পাড়ের মাছ ঘাটগুলোর আড়ৎদাররা জানান, প্রতি আড়ৎদারের প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। এমনিতেই সরকার মার্চ-এপ্রিল দু’মাস মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে। এরপরেও নদীতে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। নদীতে মাছ ধরা না পরায় ব্যবসায় লোকসান গুণতে হচ্ছে এবং ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করা কষ্টকর হয়ে যাবে।
অপরদিকে, নদীতে মাছ ধরা না পরায় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পাইকাররা। উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, একদিকে ডুব চরের কারণে নদীর ঘনত্ব কমে গেছে। অন্যদিকে অভয়াশ্রমের পর সব ইলিশ মাছ সমুদ্রের দিকে চলে গেছে।