ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চট্টগ্রামে জমে উঠছে পশুরহাট

চট্টগ্রাম ব্যুরো
🕐 ৯:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৬, ২০১৯

পবিত্র ইদুল আজহাকে সামনে রেখে নগরীর কোরবানি পশুর হাটগুলো ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করেছে। বেচা-কেনা না হলে হাটগুলোতে ট্রাকে ট্রাকে করে আসছে কোরবানির পশু। বাজারে কৌতুহলী ক্রেতারাদের ঘোরাঘুরি, দামাদমি করার মধ্য দিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান জানিয়েছেন, চাঁদাবাজির রোধে কোরবানির পশুবাহী কোনো ট্রাকে এবার পুলিশ চেকিং করবে না। পশুবাহী ট্রাক যেখানে যেতে চায়, তাকে সেখানে যেতে দেওয়া হবে। কোনো অবস্থায় বাধা দেওয়া যাবে না। এরপরও কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোরবানির পশুর হাট ও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নগরীতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হবে জানিয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোকে ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

এছাড়া প্রত্যেকটি হাটে থাকবে পুলিশের কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার। জাল নোট শনাক্তকরণের মেশিন বসানোর পাশাপাশি মানি এস্কর্ট সুবিধাও থাকবে। বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলস্টেশন কেন্দ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হবে। ছিনতাইকারী ও মলমপার্টির দিকে বিশেষ নজর থাকছে। গত শনিবার দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের সম্মেলন কক্ষে কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ খোলা কাগজকে বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়ে জেলা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে। কেউ ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি করছে এমন অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেব। এছাড়া নগরীর স্থায়ী-অস্থায়ী বাজারগুলোতে চাঁদাবাজি বা খুঁটি বাণিজ্যের অভিযোগ পেলে তা কঠোর ভাবে দমন করা হবে।

অন্যদিকে স্থানীয় উৎপাদন এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পশু আসার কারণে চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর কোনো ঘাটতি হবেনা বলে জানিয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রিয়াজুল হক খোলা কাগজকে বলেন, এবার ঈদুল আজহায় চট্টগ্রামে সাত লাখ ২০ হাজার পশু কোরবানি হবে। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত প্রায় ছয় লাখ ১০ হাজার পশু রয়েছে।

 
Electronic Paper