মেঘনায় ভাঙন অব্যাহত
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
🕐 ৭:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৬, ২০১৯
লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে। প্রতি মুহুর্তেই ভাঙছে নদীর তীরের কোন না কোন অংশ। শিঘ্রই তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে বিস্তীর্র্ণ জনপদ তলিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে কমলনগর উপজেলার লুধূয়া মাছঘাট এলাকায় নদীতে বালুভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। তবে মেঘনার গভীরতা ও স্রোতে সব বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, নদীতে ভাঙন দেখা দিলেই তাৎক্ষণিক প্রতিরোধে কাজ করা হবে বলে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নান স্থানীয়দের আশ্বাস দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যেই লুধূয়া মাছঘাট মেঘনা এলাকায় জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। বর্ষা শেষে ১৬ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভাঙন ঠেকাতে কমলনগরের লুধূয়া মাছঘাটে নদীর ৪০০ মিটার এলাকায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে এ কাজ স্থানীয় ঠিকাদারদের দিয়ে করানো হচ্ছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কমিটির লোকজন কাজটি তদারকি করছেন।
চর ফলকন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার জানান, কাজের গুণগতমান ভালো হলেও মেঘনার করাল গ্রাসে বালু ভর্তি জিওব্যাগ তলিয়ে যাচ্ছে। এখানে মেঘনার গভীরতা বেশি। এতে প্রবল স্রোতের কারণে সব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে পুরো এলাকা নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসা জানান, বর্ষার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্ষা শেষে নদী তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হবে। সে লক্ষ্যেই আমাদের কার্যক্রম চলছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ২৭ বছর যাবত লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী ভাঙছে। এরমধ্যে রামগতি ও কমলনগরের বিস্তির্ণ এলাকা এখন নদীগর্ভে।