ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চাক্তাই খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

চট্টগ্রাম ব্যুরো
🕐 ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০১৯

জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে নগরীর চাক্তাই খালের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সিডিএ। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগি সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ’র স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল আলম চৌধুরী এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চালানো উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা উদ্ধার করা হয়।

সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন খোলা কাগজকে বলেন, চাক্তাই খালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। ওই খালে বহুতল ভবনসহ ৩০০ স্থাপনা রয়েছে। আজকের (সোমবার) উচ্ছেদ অভিযানে আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নগরের ১৩টি খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। চলমান এ অভিযান আগামী দুই মাস পর্যন্ত চলবে।

এদিকে সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বলেন, খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে আমরা সিডিএকে সহযোগিতা করছি। সিডিএ সূত্র জানায়, চাক্তাই খালটির দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৮৮১ কিলোমিটার। বিএস খতিয়ান অনুযায়ী খালের ৮ দশমিক ১৩৭ একর জায়গা বেদখল। খালটির ওপর অবৈধ স্থাপনা ৩০০টি। এর আগে রাজখালী খাল-২ ও নোয়াখালে উচ্ছেদ করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

 
Electronic Paper