ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রেলস্টেশনে বন্যার পানি

বাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
🕐 ৯:০৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০১৯

কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলওয়ে ষ্টেশনের কার্যালয় পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে ষ্টেশন মাষ্টারের কার্যালয়ে রাখা ব্যবহার বিহীন টিকিট, জেনারেটর, ব্যাটারিসহ আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কার্যালয়ের ভিতরে পানি থাকায় দৈনন্দিন কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। অপরদিকে, কসবা উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রাম রেলসেতু এলাকায় রেল লাইন থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।

আজ (১৫ জুলাই) দুপুরে কসবা রেলওয়ে ষ্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, কার্যালয়ের প্রত্যেকটি কক্ষে হাঁটু পানি রয়েছে। ষ্টেশন মাষ্টার পানির মধ্যে চেয়ার বসিয়ে দৈনন্দিন কাজ করছেন। 

সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার জসিম উদ্দিন বলেন, রেলওয়ের ডাবল লাইনের কাজ চলছে। এ কারণে বিভিন্ন জায়গায় মাটি ভরাটের কারণে পানি চলাচল করতে পারছে না। এতে করে গত চার-পাঁচদিন ধরে কার্যালয় হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। ব্যবহার বিহীন টিকিট, জেনারেটর, ব্যাটারিসহ আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কার্যালয়ে ভিতরে পানি থাকায় দৈনন্দিন কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণগ্রাম রেলসেতু এলাকায় রেল লাইন থেকে মাটি সরে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

রেলওয়ে স্টেশন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ের ডাবল লাইনের কাজ চলছে। গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণ হচ্ছে। বৃষ্টির পানি সরানোর কোন নালা না থাকায় প্লাটফর্মসহ আশেপাশের পানি কসবা রেলওয়ে ষ্টেশনের মাষ্টারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে। গত চার পাঁচদিন ধরে মাষ্টারের কার্যালয়ে হাঁটু পানি রয়েছে। মাষ্টারের কার্যালয়ে আলমারীতে থাকা ব্যবহারবিহীন টিকিট পানিতে তলিয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়াও জেনারেটর ব্যাটারী এবং যাত্রীদের বিশ্রামাগারেও হাঁটু পানি রয়েছে। এ কারণে ষ্টেশনে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিঘ্ন হচ্ছে।

অপরদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকার রেলসেতুর কাছে পুরাতন লাইনে বৃষ্টির পানি চলাচল করতে গিয়ে রেল লাইন থেকে মাটি সরে গেছে। এতে করে ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। যে কোন সময় বড় ধরণের ট্রেন দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।

 
Electronic Paper