ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঝুঁকিপূর্ণ শাহবাজপুর সেতুতেই চলবে যান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
🕐 ৯:৪৮ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত শাহবাজপুর সেতু দিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ফের যানবাহন চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন। গত শনিবার রাতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া বিকল্প হিসেবে ভারি যানবাহন পারাপারের জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি ফেরি আনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত ১৮ জুন বিকেলে শাহবাজপুরের তিতাস নদীর ওপর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়ে। এর ফলে যেকোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এ সেতু দিয়ে সব ধরনের ভারি ও মাঝারি যান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেয় সওজ বিভাগ। যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাই-হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক ব্যবহার করার জন্য বলা হয়। তবে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে বিকল্প সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে করে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

দুর্ভোগ এড়াতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেট থেকে ঢাকা এবং কিশোরগঞ্জ নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ অভিমুখী যাত্রীবাহী আন্তঃজেলা কোচগুলো চান্দুরা থেকে আখাউড়া-সুলতানপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রোডে চলাচল করছে। যার ফলে এ রোডেও সার্বক্ষণিক যানজট লেগেই আছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল-মামুন জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে শাহবাজপুরে বিকল্প সেতু স্থাপন কাজ শেষে বাস চলাচল করার জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে যাত্রীদের নামিয়ে বাসগুলোকে সেতু পারাপার হতে হবে। আর বিকল্প সেতুতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বিকল্প হিসেবে ফেরি রাখা হবে। ছয়-সাতদিনের মধ্যে ফেরি চলে আসবে।

তিতাস নদীর ওপর নির্মিত সেতুর মাঝখানে বিকল্প সেতু বসিয়ে কোনো রকমে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছিল। সওজ বিভাগ সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ১৫ টনের অধিক ওজনের যানবাহন চলাচল নিষেধ করে। তবে সেই নির্দেশনা না মেনে প্রতিনিয়ত ১৫ টনের অধিক যানবাহন সেতু পারাপার হয়। যার কারণেই সেতুটি ভেঙে পড়ে।

 
Electronic Paper