শ্যালিকাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা, লজ্জায় বাবার আত্মহনন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
🕐 ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০১৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে মো. নাঈম ইসলামকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে নাঈম। এদিকে নাঈমের বাবা বাসু মিয়া (৫০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল শনিবার ভোরে অষ্টগ্রাম এলাকা থেকে নাঈমকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নাঈমের বাড়ি থেকে তার শ্যালিকা তামান্নার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে নাঈম পলাতক।
এ বিষয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল কবির জানান, গ্রেফতারের পর নাঈম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তামান্নাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে অভিযুক্ত নাঈমের বাবা বাসু মিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গোসাইপুর গ্রামের একটি গাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ছেলের অপকর্মের কারণে লজ্জা ও হতাশায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হওয়ার ভয়ে বাসু মিয়া বাড়ি ছেড়ে গোসাইপুর গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে আসেন। ঘটনাটি নিয়ে তিনি লজ্জা ও হতাশায় ভুগছিলেন। শনিবার ভোরে আত্মীয়ের বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বাসু মিয়া।
জানা গেছে, নাঈম তার বাবার সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক বাজারে নৈশপ্রহরীর কাজ করে। গত সোমবার তামান্নাকে খবর দিয়ে বাড়িতে আনে নাঈম। বুধবার রাতে বাসু মিয়া কাজে গেলেও নাঈম যায়নি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাঈম আমের জুস নিয়ে তার মেয়ে জান্নাতকে খাওয়ায়। জুস খেয়ে জান্নাত ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর তামান্নাকেও জুস খেতে বললে তামান্না জুস না খাওয়ায় নাঈমের স্ত্রী স্মৃতি সেই জুস খান। সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তামান্নাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে পালিয়ে যায় নাঈম।