ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চট্টগ্রামে তেল-চিনির দাম বেড়েছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো
🕐 ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৩, ২০১৯

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পাস হওয়ার আগেই চট্টগ্রামে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বেড়েছে। বাজেটে এ দুটি নিত্য পণ্যের কর বৃদ্ধির প্রস্তাবের পর পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মূল্য কেজি প্রতি ২ টাকা করে বেড়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা। এক্ষেত্রে প্রশাসনের উদ্যোগে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন তারা। জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে যে চিনি ও ভোজ্যতেল মজুদ রয়েছে তা চলমান অর্থবছরের নির্ধারিত কর বা শুল্কে আনা। এখন যা আমদানি করা হচ্ছে তা বাজারে আসতে অন্তত এক মাস। অথচ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। অনেক ব্যবসায়ীও স্বীকার করেছেন অতি মুনাফালোভীরা ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে।

দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজেট প্রস্তাবের আগে ৫০ কেজি চিনি ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হতো। সে হিসেবে পাইকারিতে প্রতি কেজি চিনির দাম হয় ৪৮ টাকা। কিন্তু বাজেট প্রস্তাবের পর এই চিনি প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজেটের পর চিনির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে মিল মালিক ও আমদানিকারকরা। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি খোলা চিনি ২ টাকা বেড়ে এখন ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজেট প্রস্তাবের আগে তা ৫০ টাকায় বিক্রি হতো।

জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে ভোজ্যতেল উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ আগাম কর এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এর প্রভাবে পাইকারি বাজারে দাম বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৯৮ টাকা। বাজেটের আগে বিক্রি হয়েছিল ৯৫-৯৬ টাকা।

এ ছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অপরিশোধিত চিনির ওপর প্রতি টনে নির্ধারিত কর ছিল ২ হাজার টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তা ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে। এতে প্রতি টনে কর বেড়েছে ১ হাজার টাকা। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট আরোপ করা হয় ১৫ শতাংশ। তবে নতুন বাজেট প্রস্তাবে এর সঙ্গে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর আরোপ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জ ট্রেড এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহম্মদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে চিনি ও ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট আরোপ করায় চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে বলে ক্রেতাদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। কিন্তু চিনির মজুদ পর্যাপ্ত আছে, দাম বাড়ার কোনো শঙ্কা নাই।

চাক্তাই শিল্প ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এস এম হারুনুর রশিদ বলেন, এখনো কোনো পণ্যের দাম খুব একটা বাড়েনি। অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফা করতে গিয়ে দাম বাড়িয়েছে। তবে জুলাইয়ে চিনি ও সয়াবিনের দাম বাড়তে পারে।

ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, বাজেটে কয়েকটি খাদ্যপণ্য ও নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়বে। ভোগান্তিতে পড়বে ভোক্তারা। তবে এখনই চিনি ও তেলের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক। প্রয়োজনে বাজার মনিটরিংয়ে সংশ্লিষ্টদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা উচিত।

 
Electronic Paper