এবার রাজপথে মাছ বিক্রেতারা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
🕐 ৯:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০১৯
সাগরে মাছ ধরায় সরকারি ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে এবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মাছ বিক্রেতা ও বোট মালিকরা। সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির ব্যানারে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতুর গোল চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করে মাছ বিক্রেতা ও নৌযান মালিকরা।
আর এ বিক্ষোভের কারণে ওই সময় মহাসড়কে প্রায় আধাঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এর আগে গত রোববার জেলেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
সিএমপির বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, সকাল থেকেই সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির ব্যানারে মানববন্ধন শুরু করে কিছু লোক।
বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধনে লোক সমাগম বেড়ে যায়। আর সে সময় তারা সড়কের উপর এসে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। তবে পরে আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের সময় শাহ আমানত সেতুর ওপর গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। বাকলিয়াসহ আশপাশের এলাকায়ও যানজট তৈরি হয়। বিক্ষোভ শেষেও যানজট আধাঘন্টারও বেশি স্থায়ী ছিল।
সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাবুল সরকার বলেন, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। অথচ সরকার এখন জেলেদের সাগরে যেতে দিচ্ছে না। আমরা যারা মাছের ব্যবসা করি, আমাদের ঘরে এখন অভাব অনটন। এজন্য আমরা রাস্তায় আসতে বাধ্য হয়েছি।
এ আগে, গত রোববার সীতাকুণ্ডের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নগরীর পতেঙ্গা ৩৮টি জেলেপল্লীর বাসিন্দারা। তাদের দাবি, ছোট নৌকা ও জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা যাবে না। পরে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক তাদের নিয়ে বৈঠক করে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ২০ মে থেকে সাগরে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে মাছ ধরা বন্ধ আছে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২৩ জুলাইয়ের আগে শেষ হচ্ছে না।