বাড়ির পাশে পুকুর খনন ঝুঁকিতে তিন পরিবার
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
🕐 ৬:২৩ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০১৯
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মৌকরা ইউনিয়নের ছোট ফতেপুর গ্রামে মাদ্রাসার সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়ি কেটে পুকুর খনন ও মাদ্রাসার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুকুর খননে ঝুঁকিতে রয়েছে তিন পরিবার। এ ঘটনায় মাদ্রাসার মোতওয়াল্লি দাবিদার মো. পেয়ার আহাম্মদ কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে গত ১৭ এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সোহেল রানা ১৯ মে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।
মাদ্রাসার মোতওয়াল্লি দাবিদার মো. পেয়ার আহাম্মদ বলেন, আমার পিতা দাখিল মাদ্রাসার নামে ৬০ শতক জমি ওয়াকফ করে দেন। বর্তমানে এখানে দাখিল মাদ্রাসা নাই। কিন্তু গ্রামবাসী মিলে এখানে একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া আমার পিতার স্মরণে এখানে প্রতিবছর ওয়াজ মাহফিল করে আসছেন গ্রামবাসী। এ মাহফিলকে কেন্দ্র করে জাকেরের সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ কারণে সে জোর করে গাছ কেটে ও বাড়িতে পুকুর করে আমাদের জীবনযাপনকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
অভিযুক্ত জাকের হোসেন বলেন, আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে পুকুর করেছি। আমি এখানে মাছ চাষ করব। এ ছাড়া পেয়ার আহাম্মদ মাদ্রাসার নামে টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। এ জন্য গ্রামবাসী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, আদালত থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে গাছ কেটে নেওয়ার সত্যতা মেলায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছি।
নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সোহেল রানা বলেন, আমি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন গিয়ে দেখেছি। উভয়পক্ষকে দলিলপত্রাদি নিয়ে আমার অফিসে আসার জন্য বলেছি।