আসামিদের ধরতে পুলিশের গড়িমসি
চট্টগ্রাম অফিস
🕐 ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০১৮
চট্টগ্রামে বাবার সামনেই ছেলে আবু জাফর মো. অনিককে খুন করে স্থানীয় যুবলীগ ক্যাডার মহিউদ্দীন তুষারসহ একটি কিশোর গ্যাং। এ ঘটনায় অনিকের বাবা বাদী হয়ে নগরের চকবাজার থানায় মহিউদ্দীন তুষারকে প্রথম আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এ পর্যন্ত একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অনিকের বাবার অভিযোগ, রহস্যজনক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে পুলিশ। চাইলে মোবাইল ট্র্যাকিং বা প্রযুক্তির ব্যবহারে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকাই এখন রহস্যজনক।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কেন্দ্রীয় বিশেষ প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট আমিনুল হক বাবু জানান, পুলিশ ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নজির আমাদের কাছে আছে। একটু আন্তরিক হলে সবই সম্ভব। আর এ মামলায় আসামি অজানা নয়, সুনির্দিষ্ট। আসামিদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) নোবেল চাকমা জানান, পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মামলা যখন হয়েছে, আসামি গ্রেপ্তার হবেই।
অনিকের বাবা মো. নাছির উদ্দিন জানান, গত ১৭ জুন রোববার দিনগত রাতে অনিককে নিয়ে বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় নগরীর চকবাজার থানার চট্টেশ্বরীর ২নং পল্টন রোড এলাকায় সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানের বাড়ির বিপরীত রাস্তার ওপর বাবার সামনেই অনিককে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পথে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ ক্যাডার মহিউদ্দীন তুষারসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে সিএমপি চকবাজার থানায় একটা হত্যা মামলা দাযের করেন তার বাবা মো. নাছির উদ্দিন। মামলার আসামিরা হলেন- যুবলীগ ক্যাডার মিন্টু, ইমরান শাওন, কিশোর গ্যাংয়ের ইমন, শোভন, রকি, অপরাজিত, অভি, বাচা, এখলাস, দুর্জয় এবং অজয়। চকবাজার থানার ওসি আবুল কালাম জানান, ঘটনার পরপরই আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। তারা সবাই বাসায় তালা লাগিয়ে পালিয়েছে। আশা করি শিগগিরই আসামিরা গ্রেপ্তার হবে। অনিকের মা আক্তার বেগম জানান, ২০১৬ সালের ১৯ আগস্ট ছেলে ভালোবেসে রিমা আক্তার অরিনকে বিয়ে করে।