ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আশুগঞ্জ সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
🕐 ৫:২৬ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০১৯

আড়াই মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন। গত রোববার কারখানার কুলিং টাওয়ারসহ বিভিন্ন প্লান্টের যন্ত্রাংশের ক্রটি মেরামতের জন্য উৎপাদন বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান।

এদিকে, ইতোমধ্যে বিদেশি প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে সকাল থেকেই মেরামত কাজ শুরু করা হয়েছে। কারখানার মেরামত কাজ শেষ করে আগামী ২৩ জুলাই কারখানার উৎপাদন চালু হতে পারে। বর্তমানে কারখানায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। এ কারণে কমান্ড এরিয়াভুক্ত জেলায় সার সংকটের সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।  কারখানা বন্ধের কারণে প্রতিদিন ১২শ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন ব্যাহত হবে। এর আগে দীর্ঘ আট বছর পর গত শনিবার মধ্যরাতে কারখানার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না করে মেরামতের কাজের জন্য কারখানার উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলনে নামে। উৎপাদন অব্যাহত রাখার দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা গেট মিটিং, অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলন মেনে নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার পর কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন ১৯৮১ সালে ১৬ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদনের ক্ষমতা নিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আশুগঞ্জ সার কারখানাটি চালু হয়। কারখানাটির আয়ুষ্কাল ২০ বছর হলেও আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে ৩৮ বছরে উৎপাদন ক্ষমতা ১২শ মেট্রিক টনে এসে দাঁড়িয়েছে। এর পর থেকে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে কারখানাটি বিসিআইসির লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে। ২০১১ সাল থেকে গ্যাস সংকটের কারণে প্রতিবছরে অর্ধেকের বেশি সময় কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ থাকায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হয়ে লাভজনক থেকে লোকসানী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় লভ্যাংশ বোনাসসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল শ্রমিক-কর্মচারী। দীর্ঘদিন পর চলতি অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকাতে চলতি অর্থবছরে কারখানাটি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এতে করে কারখানাটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে।

আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন পর কারখানাটির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ায় খুশি শ্রমিক-কর্মচারী। আশা করি নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে প্রতিবছরই শ্রমিক-কর্মচারীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে কারখানা সচল রাখলে লক্ষ্যমাত্রা অব্যাহত থাকবে।

 
Electronic Paper