মনিকাদের খেলার মাঠ বেহাল
প্রান্ত রনি, রাঙ্গামাটি
🕐 ৫:২৯ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০১৯
বাংলাদেশের নারী ফুটবলার মনিকা চাকমা। সম্প্রতি বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে একটি দর্শনীয় গোল যেটি ফিফার দর্শক জরিপে সেরা পাঁচে স্থান পেয়েছে। সেই থেকে আলোচনায় এখন মনিকা চাকমা। পাহাড় থেকে কীভাবে উঠে এলেন জাতীয় পর্যায়ে। কিন্তু মনিকাদের পথচলা এতটা মসৃণ ছিল না। নেই অনুশীলনের জন্য যুগোপযোগী মাঠ, নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলাধুলার সরঞ্জাম। কিন্তু তার অদম্য চেষ্টা ও নিজেদের ইচ্ছাশক্তি কাজে লাগিয়ে এতকুটু পথ পাড়ি দিলেন। মুগ্ধ করেছেন মানুষকে। বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল করেছে দেশের নাম।
মনিকা চাকমা জানায়, তাদের ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মেয়েরা অনেক কষ্ট করেই পড়াশোনা করছে। তারা বিভিন্ন ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে সকাল-বিকাল এ মাঠে দুইবেলা অনুশীলন করে। এ মাঠের অবস্থা খুবই খারাপ। এ মাঠ যদি ভালো হয় তাহলে আমাদের অনুশীলন করতে আরও ভালো হবে।
কোচ শান্তি মনি চাকমা জানান, ২০১১ সালেই বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে মগাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ মনিকাদের নিয়ে আমাদের যাত্রা। ২০১১ সালে সারা বাংলাদেশে মগাছড়ি সরকারি বিদ্যালয় টিম চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৩ সালে আমরা আবার জাতীয় পর্যায়ে রানারআপ হই। তখন থেকেই আমরা এ টিম ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। তিনি আরও জানান, এখানে মেয়েদের অনুশীলনের জন্য খাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠটিই রয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো ভালো মাঠ নেই। এ মাঠে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। উঁচু-নিচু মাঠ, এর মধ্যে পাথরকুঁচি। খালি পায়ে বাচ্চারা অনুশীলন করতে পারে না। সামান্য বৃষ্টি হলেও মাঠে জমে যায় কাদা।’
ওই এলাকার বাসিন্দা শান্তিময় চাকমা জানান, মাঠটা আগে খুবই করণ অবস্থায় ছিল। সেনাবাহিনী তাদের বুলডোজার এনে কিছুটা সমান করে দিয়েছে। যেহেতু এটি একটি ঐতিহাসিক মাঠ, এ মাঠ থেকেই ৫-৬ জন জাতীয় দলে খেলছে। তাই আমি সরকারের কাছে এ মাঠ সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম জানান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু করা সম্ভব না হলেও আমাদের শুভাকাক্সক্ষী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছে তিনি শিগগিরই সেখানে যাবেন। ছেলেমেয়েদের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনবেন। এবং ফুটবলার মনিকার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করবেন।