চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড
নোয়াখালীতে কয়েকজনের দাফন সম্পন্ন
নোয়াখালী প্রতিনিধি
🕐 ১:৫০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
রাজধানী ঢাকার চকবাজার এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িসহ বিভিন্ন উপজেলার নিহত ১১ জনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের লোকজন স্বজন হারানোর বেদনায় আহাজারি করছেন। আর এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকাল থেকে স্ব স্ব এলাকার নিহতদের কয়েকজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
স্বজন ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি, কোম্পানীগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ উপজেলার নিহতদের মধ্যে মোট ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সোনাইমুড়ির নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের খাসের বাড়ির সাহেব আলীর দুই ছেলে মাসুদ রানা (৩৬) ও মাহাবুবুর রহমান রাজু (২৮), পশ্চিম নাটেশ্বর গ্রামের মিনহাজী বাড়ির মৃত ভুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী হোসেন (৬৫), নাটেশ্বর গ্রামের সৈয়দ আহমদের ছেলে হেলাল উদ্দিন, মির্জানগর গ্রামের আবদুর রহিম বিএসসির ছেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (৩৮), মমিন উল্যার ছেলে সাহাদাত হোসেন হিরা (৩২), মৃত গাউছ আলমের ছেলে নাছির উদ্দিন (৩২) ও পার্শ্ববর্তী বারোগা ইউনিয়নের দৈলতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আনোয়ার, মধ্য নাটেশ্বর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে ছিদ্দিক উল্যাহ, বেগমগঞ্জ উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামের কামাল হোসেন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী গ্রামের জসিম উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, নিহতদের মধ্যে সকাল ৮টায় পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামের হেলাল উদ্দিন, ৯টায় ঘোষকামতা গ্রামের মাসুদ রানা ও মাহাবুবুর রহমান রাজুর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এছাড়াও এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় বেগমগঞ্জের মুজাহিদপুরে কামাল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জের জসিম উদ্দিন ও ৩টার দিকে পশ্চিম নাটেরশ্বর গ্রামের মৃত ভুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী হোসেনেরও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। অম্বরনগর গ্রামের উত্তর ওয়াসেকপুর গ্রামে দাফন হয়েছে নুরু মিয়ার ছেলে আবদুর রজিম দুলা মিয়ার মরদেহ। এছাড়া দিনের বিভিন্ন সময়ে বাকিদের জানাজা সম্পন্ন হবে।
তবে মরদেহ শনাক্ত করতে না পারায় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি মির্জানগরে এখনো এসে পৌঁছায়নি বলেও জানান এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পাশের ভবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ রাত ৩টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ২০০ কর্মী। এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা ৮১ জন। আহত হন ৪৫ জনেরও বেশি। ৯ জনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদের মধ্যে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায় নিহত হন ১১ জন।