৩১ শয্যার হাসপাতালে এক চিকিৎসক
ফেনী প্রতিনিধি
🕐 ৮:১৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন। এর মধ্যে দুজন ছুটিতে থাকায় একজন চিকিৎসককেই সামলাতে হচ্ছে ৩১ শয্যার এ হাসপাতাল।
দৈনিক গড়ে ২৫০ জন রোগী আসে হাসপাতালটিতে। চিকিৎসক না পেয়ে রোগীরা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের সেবা নিচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালটিতে গিয়ে একজন চিকিৎসকের দেখা মিলেছে। মো. সাইফুল ইসলাম নামে ওই চিকিৎসক রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসা রোগীরা এক্স-রে সেবার মতো প্রয়োজনীয় সেবাও পাচ্ছেন না।
ফেনীর সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, ৩১ শয্যার দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ সেখানে তিনজন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একটি বিভাগীয় পরীক্ষায় অংশ নিতে ঢাকায় গেছেন। মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট অর্জিত ছুটিতে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সংকটও রয়েছে। ফলে এক্স-রে বিভাগ ও প্যাথলজি বিভাগ থেকেও অচল। অ্যাম্বুলেন্সের চালক নেই। অ্যাম্বুলেন্স চলে একজন এমএলএসএস দিয়ে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক, ক্যাশিয়ার, স্টোর কিপার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, জুনিয়ার মেকানিকের পদও শূন্য।
ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি আগের রাতেও ডিউটি করেছেন। অন্য কোনো চিকিৎসক না থাকায় তাকে দিনেও ডিউটি করতে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জরুরি কাজে ঢাকায় গেছেন। মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট অর্জিত ছুটিতে রয়েছেন। তবে আটজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পালা করে রোগী দেখছেন। ৩১ শয্যার হাসপাতালে গড়ে ভর্তি রোগী থাকে ২০ জন। বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ জন রোগী আসে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, চিকিৎসক সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসকসহ জনবল পদায়নের জন্য বলা হয়েছে।