মরিয়া সুবিদ-মোশাররফ
কুমিল্লা প্রতিনিধি
🕐 ১০:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮
স্বাধীনতা-পরবর্তী জাতীয় রাজনীতিতে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-মেঘনা) আসনটি আলাদা গুরুত্ব বহন করে আসছে। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮০০ জন। আসনটি একসময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত চারটি নির্বাচনে পর পর জয়লাভ করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তবে নবম ও দশম জাতীয় নির্বাচনে মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া আসনটি আওয়ামী লীগকে উপহার দেন। মুক্তিযোদ্ধা, লেখক এবং একাধিক সফল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সুবিদ আলী ভূঁইয়া এবারও এ আসনে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেছেন।
ভোটারদের কাছে তিনি একজন সহজ-সরল মানুষ হিসেবেই পরিচিত। স্থানীয় আওয়ামী লীগের মাঝে চরম বিরোধ-গ্রুপিং থাকলে তা মিটিয়ে আসনটি এবারও ধরে রাখতে চান তিনি। তবে এ আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবার কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) সংসদীয় আসন থেকেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে দাউদকান্দির জয়-পরাজয়ের সঙ্গে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ব্যক্তি ইমেজ জড়িত বলে অনেকে মনে করছেন। ভোটাররা বলছেন, উন্নয়নকামী প্রার্থীকে এবার বেছে নেবেন তারা।
অপরদিকে, শিক্ষাবিদ ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ এ আসনটি পুনরুদ্ধারে মরিয়া চেষ্টা করছেন। ১৯৭৯ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। কুমিল্লা-২ আসন থেকে চারবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৬ সালে স্বল্পমেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ছিলেন।
সম্প্রতি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের একজন এজেন্টের কথিত ফোনালাপের একটি অডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন তিনি। এ ঘটনায় দাউদকান্দি থানায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করেন সুবিদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমন। তবে আইএসআই এজেন্টের সঙ্গে কথা বলার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, ‘আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও নির্বাচনী প্রচার কাজে বিঘ্ন সৃষ্টির জন্য বানোয়াট এই ফোনালাপের ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে।’