অবৈধ সংযোগের অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানের গ্যাস স্টেশন বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:১৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২৩
সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিনের দিঘির যান এলাকায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনটি গত তিনদিন থেকে বন্ধ রয়েছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই এলাকায় সিএনজি চালিত পরিবহনের মালিকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের গ্যাস লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। ফিলিং স্টেশনটির গ্যাসের মিটারে অবৈধ হস্তক্ষেপের প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির মিটার খুলে নিয়ে গিয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রতিনিধি দল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি নোয়াখালীর বিক্রয় ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শাহ আলম। তিনি জানান, প্রায় ১৫ জন কর্মকর্তা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভিজিল্যান্স টিম, সেসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার সেলস ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা।
অভিযানের বিষয়ে তিনি খোলাকাগজকে জানান, ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যরা প্রাথমিক ভাবে আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের লক্ষণ দেখে লাইন কেটেছে, গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে মিটার হেড অফিসে নেওয়া হয়েছে, হেড অফিসে একটি কমিটি রয়েছে যারা মিটার গুলো চেক করেন, মিটার চেক করা হচ্ছে, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানা অথবা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ গ্যাস আইন, ২০১০ বলছে, সিএনজি স্টেশন শ্রেণীভুক্ত কোন গ্রাহক মিটারে অবৈধ হস্তক্ষেপ করে গ্যাসের প্রকৃত ব্যবহার থেকে কম প্রদর্শন করে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে অনাধিক এক বৎসর কারাদ্বন্ড অথবা এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। এছাড়া একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে তিনি অনূন্য এক বৎসর এবং অনাধিক তিন বৎসর কারাদন্ড অথবা দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবে।
তবে অবৈধ গ্যাস সংযোগের আলামত পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ফিলিং স্টেশনটির মালিক সোনাইমুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন। তিনি জানান, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে, কোন ধরনের অবৈধ সংযোগ নেই।