ঢাকা, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বান্দরবানে বৃষ্টিতে নিম্মাঞ্চলে জমছে পানি

কৌশিক দাশ, বান্দরবান
🕐 ৪:৫৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৩

বান্দরবানে বৃষ্টিতে নিম্মাঞ্চলে জমছে পানি

বন্যা শেষ হওয়ায় কয়েকদিন যেতে না যেতেই বান্দরবানে ২১ আগস্ট (সোমবার) সকাল থেকে আবার বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি বর্ষণের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।

বৃষ্টির কারণে বান্দরবানের নিম্মাঞ্চলে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভা এলাকার বালাঘাটা সড়কের কয়েকটি অংশে পানি জমে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে আর এতে বিপাকে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরা।

বান্দরবানের বালাঘাটা এলাকার বাসিন্দা মো.মুছা বলেন,বন্যা শেষ হতে না হতেই আবার বান্দরবানের সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে আর আমাদের মনে আবার বন্যার আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারণে সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় গত ৯ আগস্ট থেকে বান্দরবানের সাথে রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আর ভেঙ্গে যাওয়ায় সড়ক মেরামতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজনে অনেকেই এখন নদী পথে দুই উপজেলায় যাতায়াত করছে আর সেই সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নৌকাযোগে সরবরাহ করা হচ্ছে।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. সামশুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানে বন্যা হয়েছে আর বন্যা পরর্বতী সময়ে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্নস্থানে জমে থাকা বজ্য অপসারণে পৌরসভার কর্মীরা কাজ করছে। তিনি বলেন, সকাল থেকে আবার বৃষ্টি হচ্ছে আর বৃষ্টির সাথে সাথে পাহাড় ধসের শঙ্কা সৃষ্টি হয় তাই আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং অতিবৃষ্টি হলেই পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণস্থানে বসবাসকারীদের সরে নিরাপদস্থানে থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত: গত ৬ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বান্দরবানে অতিবৃষ্টি আর বন্যার কারণে পাহাড় ধসে ১১ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ১৪০৬টি ঘর সম্পূর্ণ ও ৫১৭৩ টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেই সাথে সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় রুমা ও থানচি উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।

 

 
Electronic Paper