ধান চুরির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
মু. ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ, লক্ষ্মীপুর
🕐 ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৩
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিমসহ ৯ জনকে ধান চুরি মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এর আগেও ছাগল চুরির মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন আদালত। আজ রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক তারেক আজিজ জামিন নামঞ্জুর করে কারা তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ধান চুরি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জসিমসহ আসামিরা আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারা তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামিরা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বাদীর জমির ২৫০ মণ ধান চুরি করে নিয়ে যায়। অন্য আসামিরা হলেন আদনান আমিন, ফরহাদ হোসেন, ইফতেখার হোসেন শাওন, নুরুল আমিন, অজি উল্যাহ, খোরশেদ আলম, নোমান পাটওয়ারী, সফি উল্যাহ। তারা রামগতি উপজেলার চরসীতা গ্রাম ও কমলনগরের চরলরেন্স গ্রামরে বাসিন্দা। সম্পর্কে তারা আত্মীয়-স্বজন।
বাদী লিনা কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামের ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনের স্ত্রী।
এজাহার সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তোরাবগঞ্জ গ্রামে বাদীর ৪ একর ৪৫ শতাংশ জমিতে থাকা ২৫০ মণ আমন ধান কেটে নিয়ে যায়। ধানগুলোর বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিল। ধান লুটে বাধা দেওয়ায় বাদীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির করা হয়।
এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর লীনা বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কমলনগর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তখন আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়। চলতি বছর ১৫ মার্চ রামগতি থানা পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।