সোনাইমুড়ীতে বন্যায় বেড়েছে চোরের উপদ্রব, আটক ২
সৈয়দ মোঃ শহিদুল ইসলাম
🕐 ৬:৫৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২৩

সোনাইমুড়ীতে বন্যার কারণে বিভিন্ন ইউনিয়নে চোরের উপদ্রব আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। রেহাই পাচ্ছেনা সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীদের পরিবার।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সোনার গহনা, মোবাইল ফোন, ঘরের আসবাবপত্র এবং পানি খাওয়ার কল পর্যন্ত চুরি হচ্ছে। বর্তমানে চোরদের নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে উপজেলাটি। অনেকেই বলছেন বন্যায় সারারাত্র বৃষ্টি হওয়ার কারণে সোনাইমুড়ি উপজেলাটি চোরদের জন্য স্বাধীন ভূখন্ড। যে কারণে চোরেরা তাদের চুরির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তাদের চুরির কার্যক্রম দীর্ঘদিন থেকে চালিয়ে যাচ্ছে। দেখার বা বলার কেউ নেই। চুরির ঘটনায় থানায় একাধিক মামলা হয়েছে, উদ্ধারও করা হয়েছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাসহ চুরি হওয়া কিছু মালামাল। কিন্তু এখনো অধিকাংশ চুরির মালামাল উদ্ধার হয়নি। তাছাড়া চুরির অধিকাংশ মামলাই এ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত চার মাসে সোনাইমুড়ীতে ধারাবাহিকভাবে অটোরিকশা চুরি, হোন্ডা চুরি, পানির কল চুরি, সিঁদেল চুরি, বেড়া কেটে চুরি, খাদ্যে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে ঘরের সর্বস্ব লুটের ডজন খানিক ঘটনা ঘটেছে সোনাইমুড়ীতে। এ বিষয়ে থানায় একাধিক মামলা হলেও দুই-একটি মামলা ছাড়া পুলিশি তদন্তে এর কোন কুল কিনারা হয়নি। তদন্তের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে চোর সিন্ডিকেট দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সর্বশেষ আজ রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ২নং নদনা ইউনিয়নের, জগজীবনপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে কল চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে আটক করা হয় মাইজদী সোনাপুরের সিদ্দিক (২৫) ও শাহাজাহান আলম (২২) নামের দুইজনকে। এসময় এলাকাবাসী উত্তম-মধ্যম দিয়ে তাদেরকে চৌকিদার দিয়ে চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড মেম্বার এর কাছে সোপর্দ করেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চুরির বিষয় জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক জানান, এই চক্রে আন্তজেলা চোর সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। এদের ধরতে র্যাব পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যে এর একটা সমাধান।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
