ঘোড়ার মাংস পরিবেশনের অভিযোগে আটক ২, মুচলেকায় মুক্তি
ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ, লক্ষ্মীপুর
🕐 ৮:২৭ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৩
লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে ঝুমুর হোটেলে ঘোড়ার মাংসকে গরুর মাংস বলে বিক্রি করে পরিবেশনের অভিযোগ উঠছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ হোটেল মালিক সবুজ ও কশাই চৌধুরীকে আটক করে। কয়েক ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে পুলিশ দুজনকে ছেড়ে দেয়। গত বৃহস্পতিবার রাতব্যাপী শহর জুড়ে মানুষের মুখে-মুখে একটাই কথা ছিলো ঝুমুর হোটেলে ঘোড়ার মাংসকে গরুর মাংস বলে বিক্রি করে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
এর-আগে, গত বুধবার রাতে পুলিশ ঝুমুর হোটেল ও কশাই চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি চাঁদখালী মসজিদ বাড়ীর তার ঘর থেকে মাংস উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধান করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঝুমুর হোটেল। মাদাম জিরো পয়েন্ট, যেখানে দিনের বেলা প্রায় ১-২ টা ঘোড়া চোখে পড়তো। সেই ঘোড়া গুলো কার ছিলো একপর্যায়ে বেরিয়ে এসেছে ওই ঘোড়া গুলো ছিলো কশাই চৌধুরীর। মাদাম থেকে একটু অদূরে সান ঘাট নামকস্থানে সন্ধ্যায় ঘোড়াগুলো জবাই করা হয়। পরে ওইখান থেকে ঘোড়ার মাংস ঝুমুর হোটেলসহ বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করে কশাই চৌধুরী।
তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘোড়ার মাংস জব্দ করে। আটক করে কসাই চৌধুরী ও ঝুমুর হোটেলের মালিক সবুজকে। পুলিশ ঘোড়ার মাংস জব্দ করা একটি ছবি সাংবাদিকদের হাতে আসে।
ঝুমুর সিনেমা হল এলাকার বাসিন্দা ও রিকশাচালক মো. শরীফ জানান, আমার রিকশা করে কসাই চৌধুরী সান ঘাট থেকে ঝুমুর হোটেলে মাংস দেয়। পরে আমি শুনেছি মাংসগুলো ঘোড়ার মাংস।
হোটেলে নাস্তা করতে আসা আ. রউপ বলেন, আমরা সবসময় এ ঝুমুর হোটেলে নাস্তা করি। অনেক সময় দুপুর বেলা মাংস দিয়ে খাবার খাই। আজ শুনলাম এ হোটেলে ঘোড়ার মাংস পাওয়া গেছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার সংবাদকর্মী ফয়সাল কবির বলেন, গরুর মাংস নয়, ঘোড়ার মাংস বিক্রি হয় হোটেলে বিষয়টি শুনে খুব খারাপ লাগছে। প্রশাসন যদি অভিযান পরিচালনা করে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ বিভাগ, ভোক্তা অধিকার ব্যবস্থা নিবে এমনটাই প্রত্যাশা করে সকলেই।
ঝুমুর হোটেলের স্বত্বাধিকারী (মালিক) মো. সবুজকে হোটেলে এসে পাওয়া যায়নি। তবে ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা গরুর মাংস বিক্রি করি। একটি চক্র ও কসাই চৌধুরী ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
সদর মডেল থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কসাই চৌধুরী ও হোটেল মালিক সবুজকে এনেছি। মামলা দেওয়ার জন্য কোনো অভিযোগকারী বা সাক্ষী ছিলো না। মাংসগুলো কিসের মাংস পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।