ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আদালতে রনির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

‘অদিতাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রনি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী
🕐 ৮:৫০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২

‘অদিতাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রনি’

নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষীনারায়নপুর গ্রামে তাসনিয়া হোসেন অদিতা হত্যারকান্ডের ঘটনায় জড়িত আবদুর রহিম রনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রেস ব্রিফিং এ নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, শনিবার দুপুরে (২৪ সেস্টেম্বর) নোয়াখালী বিজ্ঞ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ এমদাদের আদালতে রনি তার দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২২ সেস্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আসামী রনি তাসনিয়া হোসেন অদিতার বাসায় যায়। বাসায় গিয়ে দরজা বন্ধ থাকায় নক করলে অদিতা দরজা খুলে দেয়। তখন সে বাসায় প্রবেশ করে অদিতার সাথে গল্পগুজব করে। গল্পগুজবের এক পর্যায়ে রনি অদিতাকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করে। এসময় রনিকে বাধা দেয় অদিতা এবং ধস্তাধস্তিরর সময় নিজেকে রক্ষা করার জন্য রনির ঘাড়ে ও গলায় আচড় দেয়। তখন অদিতাকে তার ভিতরের কক্ষে খাটে ফেলে ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

একপর্যায়ে অদিতা রাগান্বিত হয়ে বলে বিষয়টি বাহিরের সকলকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে রনি ভিকটিমকে প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে রান্না ঘর থেকে ছোরা এনে অদিতার বাম হাতের ছোরা এনে অদিতার বাম হাতের রগ এবং গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে হাতের বাধন খুলে দেয়। এরপর আসামী আবদুর রহিম রনি ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে রুপ দেওয়ার লক্ষে ঘরের আলমিরা ও ওয়ারড্রপের সকল কাপড় চোপড় ও কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভিতরের রুমের দরজা লক করে এবং ঘরের মূলদরজা বাহির থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ।

উলেখ্য, গত বৃহষ্পতিবার বিকেলে জেলা শহর মাইজদীতে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসমিয়া হোসেন অদিতাকে (১৪) ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করা হয়।

নিহত শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধারের পরপর পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি সাবেক গৃহ শিক্ষক আবদুর রহিম রনি(২০), ইসরাফিল (১৪), তার ভাই সাঈদ (২০) গ্রেফতার করে। গতকাল শুক্রবার আদালত রনির ৩ দিনের মঞ্জুর করে।

 
Electronic Paper