ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বান্দরবানে সীমান্তে থেমে থেমে গুলির শব্দ, আতঙ্কে স্থানীয়রা

কৌশিক দাশ, বান্দরবান
🕐 ৮:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২

বান্দরবানে সীমান্তে থেমে থেমে গুলির শব্দ, আতঙ্কে স্থানীয়রা

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি, বুধবার সকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের আবার থেমে থেমে গুলির ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের গুলির আওয়াজে এপারের তুমব্রু সীমান্তবাসীদের মাঝে নতুনভাবে আতংক বিরাজ করছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সকাল থেকে আবারও ভারী অস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছে। থেমে থেকে কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দে এপারের জনগণের মনে মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে তবে আকাশে মিয়ানমারের কোন হেলিকপ্টার বা যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যাচ্ছে না।

ঘুমধুম এর বাসিন্দা মো.নুর মোহাম্মদ জানান, প্রতিদিনই কমবেশি গুলির আওয়াজ আসছে বিগত একমাস ধরে সীমান্ত এলাকায়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে সেদেশের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সংঘাতের কারণে সকাল থেকে মুহুর্মুহু গুলির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দারা। সীমান্তের ওপারে ভারী গোলাবারুদ বিস্ফোরণের শব্দ শুনা যাচ্ছে, কিছুক্ষণ পর পর শুধু গুলির আওয়াজ আসে।

মনে হচ্ছে, আমাদের পুরো সীমান্ত এলাকা কেঁপে উঠছে। মো.নুর মোহাম্মদ আরো জানান,গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ গুলি ও মর্টার শেলের আওয়াজ আরো বেড়ে গেছে মনে হয়, যারা সীমান্ত এলাকায় মাটির ঘরে অবস্থান করছে মিয়ানমারের ভারী অস্ত্রের ব্যবহারের কারণে ঘরগুলো ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা। তিনি আরো জানান,এলাকাবাসীর মনে শুধু এখন আতংক কখন কি হয়।

এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ও তুমব্রু সীমান্ত বরাবর মর্টার শেল পড়ার পর থেকে সর্র্বাধিক সর্তকবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু-আমতলী এবং আষাঢ়তলীসহ পুরো সীমান্ত এলাকায়।

মিয়ানমারের এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তে বসবাসকারী জনগণকে আতংকিত না হওয়া এবং সরকার বিষয়টি সর্র্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নজরদারি করছে বলে জানান বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।

 
Electronic Paper