ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নোয়াখালীতে মঙ্গলবারে উদ্বোধন, বুধবারে বন্ধ বিআরটিসির বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী
🕐 ৮:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২২

নোয়াখালীতে মঙ্গলবারে উদ্বোধন, বুধবারে বন্ধ বিআরটিসির বাস

নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালু করা হয় গত মঙ্গলবার (২৮জুন)। ঢাক-ঢোল ফিটিয়ে ঘটা করে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসকসহ আ.লীগ নেতৃবৃন্দ। কিন্তু উদ্বোধনের মাত্র এক দিন পর বুধবার ব্যক্তি মালিকানাধীন সোনাপুর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির বাধার মুখে বন্ধ হয়ে যায় বিআরটিসি বাস সার্ভিস।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, সোনাপুর থেকে হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলিমিটার সড়কে কোনো ভালো মানের বাস সার্ভিস নেই। বিশাল এ জনপদের মানুষ জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য নির্ভর হতে হয় সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং লক্করজক্কর ব্যক্তি মালিকানাধীন বাসের উপর। এতে নানা দুর্ভোগে পড়তে হয় এ রুটের লাখো মানুষকে। বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েও বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে বিবাধেও লিপ্ত হতে হয় যাত্রীদের। বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে যাত্রীদের মারধর করারও বেশ নজির রয়েছে এ সড়কে।

এ সড়কের যাত্রীদের কথা চিন্তা করে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ চারটি বাস সার্ভিস শুরু করে। যার ভাড়া সোনাপুর থেকে ঘাট পর্যন্ত ৪০ টাকা। আর ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস নিচ্ছে ৬০ টাকা এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিচ্ছে ১২০ টাকা। যা গত মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হয়। জেলা প্রশাসক দেওয়ার মাহবুবুর রহমান, জেলা আ.লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহানসহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল।

সূত্র জানায়, উদ্বোধনের পর দিন দুটি বাস চালু করা হয় সোনাপুর-চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত। বাস দুটির মধ্যে একটি সোনাপুর বিআরটিসি ডিপো থেকে বের হয়ে সোনাপুর জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত গেলেই সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও বাস মিনিবাস মালিক সমিতির শ্রমিকদের তোপের মুখে পড়ে। কোনোভাবে সোনাপুর থেকে চরজব্বার পর্যন্ত গেলে সেখানে শ্রমিকরা বাধায় দেয়, বাধা ঠেলে একবার গেলেও ওই দিনই বাধ্য হয়ে বাস সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে বিআরটিসি সোনাপুর বাস ডিপোর ম্যানেজার মো. রাজু মোল্লা বলেন, সোনাপুর বাস মিনিবাস মালিক সমিতির লোকজনের বাধার মুখে নিরাপত্তার স্বার্থে নতুন এ সার্ভিস বন্ধ করতে বাধ্য হন তারা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

বাধার দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সোনাপুর বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. সামছুল হক সোহেল বলেন, এ রুটে বর্তমানে ২০-২৫টি বাস চালু রয়েছে। পর্যাপ্ত বাস চালু থাকা স্বত্ত্বেও তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে বিআরটিসি বাস চালু করায় লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের। শুধু বাস মালিকরাই নয়, এখানে সিএনজি ও বাসের দুই হাজারের বেশি শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। তাই শ্রমিকরা বিআরটিসির বাস সার্ভিসে বাধা দিয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমান বলেন, বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বসে এর সমাধান করা হবে। একই সঙ্গে সরকারি সার্ভিসে বাধা যারা দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

 
Electronic Paper