‘ইয়াবা বিক্রি’র সময় এএসআই আটক
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
🕐 ৮:১৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৬, ২০১৮
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন নামে পুলিশের এক এএসআইকে ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ সময় সোহেল নামে তার এক সহযোগীকেও আটক করা হয়।
সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের পূর্ব বাকখালী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আটক মোশারফ হোসেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কর্ণফূলী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)। তার বাড়ি উপজেলার বাকখালী এলাকায়।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে মোশারফসহ তার কয়েকজন সহযোগী সৈয়দপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করতেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টি কয়েকবার জানালেও কোন প্রতিকার পাননি। সোমবার ইয়াবা বিক্রির সময় হাতেনাতে তাকে আটক করে এলাকাবাসী। এ সময় তার সহযোগী সোহেলকেও আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আহত সোহেলকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল মোতালেব বাদী হয়ে সোমবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোশারফকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী বলেন, মোশরাফ স্থানীয় বাসিন্দা। পুলিশের চাকরির প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় নানা অপরাধ কর্মে জড়িত তিনি। সোমবার রাতে ইয়াবা বিক্রির সময় স্থানীয় জনতা এক সহযোগীসহ মোশারফকে আটক করে পুলিশকে খবর দিলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোশারফ ও তার সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মোশারফের কাছে থেকে ১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন বলেন, মোশারফকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কয়েকজননের সঙ্গে তার জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ আছে বলে মোশারফ জানিয়েছে। এ বিরোধের জের ধরে তাকে ফাঁসানোর জন্য এটি করা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফূলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান ইমাম মুঠোফোনে বলেন, মোশারফ কর্ণফূলী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। তার বাড়ি সীতাকুণ্ডের বাকখালী এলাকায়। নিজ এলাকায় ইয়াবাসহ স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বলে শুনেছি।