ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সংবাদ সংগ্রহ কাজে বাঁধা

সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিল বিআরটিএ কর্মকর্তা

কৌশিক দাশ, বান্দরবান
🕐 ৯:১৩ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২২

সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিল বিআরটিএ কর্মকর্তা

বান্দরবান বিআরটিএ অফিসে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করার সময় এক সাংবাদিকে মোবাইল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বান্দরবান বিআরটিএ এর মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে। এসময় মোবাইল ফোন আনলক করে সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও, ছবি মুছে দেন বলে ও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৮মে) সকাল সাড়ে ১১টার সময় বান্দরবান সদরের বিআরটিএ বান্দরবান সার্কেল অফিসে এঘটনা ঘটে। মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া সাংবাদিক নয়ন চক্রবর্তী অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজ এর বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছে।

সাংবাদিক নয়ন চক্রবর্তী জানায়, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য একজন ভুক্তভোগীকে ২বছর ধরে হয়রানি করছে বান্দরবান বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তা। ইতিমধ্যে তার কাছ থেকে বাড়তি ৩হাজার টাকাও নেয়া হয়েছে, তারপরও লাইসেন্স দেয়া হচ্ছেনা। এমন অভিযোগ পেয়ে বিআরটিএ অফিসে যাই আমি আর ভুক্তভোগী নিজে।

এসময় ভুক্তভোগী লাইসেন্সের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা কোন সুদত্তর দিতে না পারলে আমি ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ শুরু করি, আর এসময় আমার মোবাইলটি মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ নিয়ে নেয়। এসময় তিনি আমার মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে গুরুত্বপূণ কিছু ছবি ও ভিডিও মুছে দেয়। পরে তিনি পুলিশকে ডেকে আমায় থানায় পাঠিয়ে দেয়।

বিআরটিএ বান্দরবান সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, অফিসে এসে পরিচয় নাদিয়েই কারোর অনুমতি না নিয়েই ভিডিও ধারন শুরু করে এক ব্যক্তি। তাকে নিষেধ করলে ও সে কোন কথা না শুনে ভিডিও করছে দেখতে পেয়ে পরে তার কাছ থেকে মোবাইলটি আমি হাতে নিয়ে রাখি এবং বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানালে তাকে সরকারি অফিসে প্রবেশ করে অনুমতি ছাড়া ছবি ও ভিডিও তোলার কারণে সদর থানায় হস্তান্তর করি।

এদিকে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, বিআরটিএ এর কর্মকর্তারা পুলিশকে খবর দিলে নয়ন চক্রবর্তী নামে একজনকে ধরে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং পরবর্তীতে তার পরিচয় এবং তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং বিষয়টি তদন্ত করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

 
Electronic Paper