ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রামুতে নেই সুনির্দিষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনার স্থান

কফিল উদ্দিন, রামু (কক্সবাজার)
🕐 ১:৩৩ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২২

রামুতে নেই সুনির্দিষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনার স্থান

রামুতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে তেমন কিছু এখনো গড়ে ওঠেনি। নেই কোনো ময়লা আবর্জনার ডাম্পিং স্টেশন। যার কারনে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে রামুর সাধারণ পথচারী ও ব্যবসায়ীরা। কক্সবাজার জেলার রম্যভূমি রামুর প্রান কেন্দ্র চৌমহনী স্টেশন। যে চৌমহনী স্টেশন নখের পিঠের মত পরিষ্কার থাকার কথা,সেই স্টেশন যেন এক সুনির্দিষ্ট ময়লার ভাগাড়। স্টেশনের সকল পাশে যেন থরে থরে সাজানো ময়লার পাহাড়। রামু চৌমহনী বনিক সমিতি, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন সহ সংলিষ্ট প্রশাসনের কতৃপক্ষের নেই কোন তদারকি।

যদি একে অপরকে দোষ দিতে ব্যস্ত তারা সকলেই। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী সহ সকল শ্রেনীর মানুষ। পথ চলতে ভোগান্তি পোহাঁতে হচ্ছে সকলের। রামু চৌমহনীসহ আশপাশের এলাকায় ময়লা আবর্জনা রাখার মতো নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকার কারনে এমনটাই হচ্ছে বলে অভিযোগ রামুর সাধারন মানুষের।

অপরদিকে রামু বাইপাস ইসলামী ব্যাংকের পশ্চিম পাশের ছোট্ট ব্রিজের নীচে এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বছরের পর বছর এই এলাকা ব্যবহার করে কিছু সুবিধা ময়লা পেলে নিতর হয়ে চলে যায়। ফলে সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধের। ব্রিজের পাশ দিয়ে চলাফেরা মুশকিল প্রায়। রামু বনিক সমিতি ও সদর ফতেখারকুল ইউনিয়নের কর্মীরা তাদের দায়সারাভাবে বিভিন্ন স্থান হতে ময়লা এনে ওখানে রেখে চলে যায়।

বাইপাস এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান,আমরা এই ময়লা আবর্জনাগুলা নিয়ে যথেষ্ট পরিমান কষ্টে আছি। দীর্ঘ ২ বছর ধরে আমরা চেয়ারম্যান, বনিক সমিতি, রামু উপজেলা প্রশাসন সহ সকলের কাছে বিভিন্ন ভাবে ওনাদের কাছে এ দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে মুক্তির আশায় দৌড়েছিলাম। তারা একে অপরকে দোষারোপে ব্যস্ত,শেষ পর্যন্ত অসহায় করে এই দুর্গন্ধের ঘ্রান নিচ্ছি প্রতিনিয়ত।

সাধারন পথচারীরা মনে করছেন, মূল শহরের অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও খুব যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তা নয়। রামু চৌমহনী এলাকা ভেতর অনেক জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। এগুলা পরিচ্ছন্ন রাখতে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের তেমন কোনো ব্যবস্থা বা উদ্যোগ নেই।

রামু চৌমহনী বণিক সমবায় সমিতির লিমিটেডের সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন,এগুলা দেখার দায়িত্ব আমাদের বনিক সমিতির না, এগুলা দায়িত্ব হল স্থানীয় সরকারের, আমাদের যেহেতু পৌরসভা নাই সেহেতু এগুলা দেখার দায়িত্ব ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ এবং রামু উপজেলা প্রশাসনের।। তবে আমরা আগে এগুলা পরিষ্কার করতাম,সাংবিধানিক ভাবে সমাধান হওয়াতে আমরা এখন করি না।

এদিকে রামু সদর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টোর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,এবিষয়ে আমার কি করার আছে,মোবাইলে বলা সম্ভব না এগুলা স্বাক্ষাৎতে কথা বলতে হবে।

এবিষয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবু প্রনয় চাকমা বলেন, আসলেই বিষয়টি খুব দুংখজনক, বিষয়টি আমি দেখছি এবং খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং আমরা চাই রামুবাসী শান্তিতে থাকুক।

রামুর সচেতন মহল মনে করছেন সংলিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টিতে যদি ময়লাগুলা পরিষ্কার করে এবং নির্দিষ্ট ভাবে ডাম্পিং এর ব্যবস্থা করা হয় তাহলে রামুবাসী উপকৃত হবে।

 

 
Electronic Paper