ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন ও সম্প্রীতি সমাবেশ

জবি প্রতিনিধি
🕐 ৯:১৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২১

সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন ও সম্প্রীতি সমাবেশ

রংপুরের পীরগঞ্জ সহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সম্প্রীতি সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম টিটনের সভাপতিত্বে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাকিল, আকতার হোসেন সহ অন্যান্য কর্মীবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, এসব সাম্প্রদায়িক হামলা সবই পরিকল্পিত ভাবে হচ্ছে। একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তানি দোসররা এই ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। তাদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে, যাতে করে ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা ঘটাতে সাহস না পায়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাচ্ছি, তিনি যেন দ্রুত এই অপশক্তিকে দেশ বিতারিত করেন।

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের সংস্কৃতি চর্চা বাড়াতে হবে। আমাদের সংস্কৃতি চর্চা নাই বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে অগ্রগতি তা বাধাগ্রস্ত করার জন্য'ই একটি গোষ্ঠী এ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি করছে। খুব দ্রুত এ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে হবে৷

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আবদুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন। এ ছাত্রলীগ যে কাজে হাত দেয় তা কখনো ব্যর্থ হয় না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যে মানববন্ধন করছে আমি আশা করি, এর মাধ্যমে এই সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করে এমন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক যাতে করে তারা আর চোখ তুলে তাকাতে না পারে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিন ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়াদিঘির উত্তরপাড়ে দর্পণ সংঘের পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন দেখা যায়। এরপর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। তারপর কুমিল্লা, চাঁদপুর, রংপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, গাজীপুর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ ওঠে।

 
Electronic Paper