ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ডিএসসিসির খুঁটিতে অচল জবির খেলার মাঠ

জবি প্রতিনিধি
🕐 ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২১

ডিএসসিসির খুঁটিতে অচল জবির খেলার মাঠ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র খেলার মাঠে (ধূপখোলা মাঠ) খুঁটি দিয়ে সীমানা পিলার বসিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এতে অচল হতে বসেছে মাঠটি। মাঠ সংস্কারের জন্যই নাকি এটা করা হয়েছে। তবে মার্কেটের জন্য নাকি এমনটা করা হচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জবি শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, বিশ^বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের চারদিক সাতটি স্থানে ছোট ছোট রড-সিমেন্ট দিয়ে পিলার বসানো হয়েছে।

মাঠে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি মাসের ৫ তারিখে এসব পিলার বসানো হয়েছে। এ সময় ডিএসসিসির ৪৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জোহাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

শ্রমিকদের দাবি, মাঠ সংস্কারের জন্যই মূলত এটা করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, সীমানা পিলার বসানোর কারণ হচ্ছে এখানে মার্কেট হবে। এ সময় তারা মাঠটিকে রক্ষার দাবি জানান।

মাঠে খেলতে আসা বিপুল সরকার বলেন, মাঠটিতে আমরা সবসময় খেলাধুলা করি। কিন্তু গত কয়েক দিন থেকে পিলার দেখতে পাচ্ছি। শুনেছি মার্কেট করা হবে।
সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ও প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা হরিদাস বলেন, এখানে মাঠের উন্নয়নের কাজ হবে। তাই আমরা কাজ শুরু করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সিটি করপোরেশনের মাঠ। সেক্ষেত্রে বিশ^বিদ্যালয়ের অনুমতির প্রয়োজন নেই।

জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জোহা বলেন, আমি এসব ব্যাপারে বিস্তারিত জানি না।

এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশন কিছু জানায়নি। আমাদের মাঠে তারা অনুমতি না নিয়ে কীভাবে কাজ করে। মাঠ আমরা প্রতিবার খেলার সময় ঠিক করি, সমাবর্তনের সময় কাজ করেছি। তারা না বলে এসব কীভাবে করবে। আমরা পরিদর্শন করে কাজ স্থগিত করার জন্য বলেছি।

এ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না।’ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ফরিদ আহাম্মদও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমানের সঙ্গে বারবার চেষ্টার পরও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জানা যায়, ৭ একর জমির ওপর ধূপখোলা খেলার মাঠটিতে ১৯৮৪ সালে এরশাদের শাসনামলে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। তার এক ভাগ দেওয়া হয় তৎকালীন জগন্নাথ কলেজকে। আর একটি অংশ ‘ইস্ট অ্যান্ড খেলার মাঠ’ নামে একটি ক্লাবের কর্তৃত্বে রয়েছে।

অপর অংশটি রাখা হয় জনসাধারণ খেলার জন্য। মাঠটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একমাত্র খেলার স্থান। যদিও এটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ২ কি.মি দূরে অবস্থিত এবং মাঠটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হয়। এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র সমাবর্তনও।

 
Electronic Paper