রক্তিম সাজে কৃষ্ণচূড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২১
চলমান লকডাউনে প্রায় জনশূন্য পথঘাট। গণপরিবহন বন্ধ। নির্মল হয়ে উঠেছে রাজধানীর বাতাস। এ সুযোগে প্রকৃতি কৃষ্ণচূড়ায় ঢেলে দিয়েছে তার অকৃত্রিম ভালোবাসা। চোখ ধাঁধাচ্ছে তার রক্তিম সজ্জা।
বাংলা নববর্ষ এই তো চার দিন আগে নীরবেই পালিত হলো। বৈশাখের আজ ৫ তারিখ। গ্রীষ্মের তাপদাহে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে। তবে গত বছর ও এবার ইচ্ছেমতো সাজতে পেরেছে কৃষ্ণচূড়া। নেই কোলাহল। নেই দূষণ। রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে লালের সমারোহ। বেশ কয়েকটি বাইপাস সড়কেও গাছজুড়ে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া ফুটে আছে। গত বছরও এ সময় করোনার কারণে সাধারণ ছুটি থাকায় বাতাস ছিল নির্মল।
কৃষ্ণচূড়ার আদিনিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কারে হলেও বাংলার অলিগলি এখন তার দখলে। গ্রীষ্ম এলেই বাড়ে তার দুরন্তপনা। মন কেড়ে নেয় সব বয়সীদের। উষ্ণ ও শুকনো আবহাওয়া এ ফুলের উপযোগী। যদিও সব দেশে একই সময় এ ফুল ফোটে না। কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার সময়কাল সব দেশে একই নয়, ভিন্ন ভিন্ন দেশে এটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আবির্ভূত হয়।
শাখা পল্লবে ছড়ানো চার পত্রবিশিষ্ট এ ফুল উজ্জ্বল লাল, কমলা বা এদের সংমিশ্রণে হয়। উষ্ণ আবহাওয়ার উপযুক্ত এ বৃক্ষ নিজস্ব সৌন্দর্যে অতুলনীয়। সৌন্দর্য বিলানো ছাড়াও গাছটি গ্রীষ্মকালে ছায়া দিতে বিশেষভাবে পারঙ্গম।
কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ, যার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এ গাছ চমৎকার পত্র-পল্লব এবং আগুন লাল ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। হংকং, ক্যারাবিয়ান অঞ্চল, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন, বাংলাদেশ, ভারতসহ আরও অনেক দেশেই কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে।