ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রফেসর পিতা হত্যার বিচার ও নিজের অধিকার দাবি ছেলের

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:৩২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৩, ২০২১

প্রফেসর পিতা হত্যার বিচার ও নিজের অধিকার দাবি ছেলের

সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পিতার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিজের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ জীবনের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে পুত্র অনির্বাণ পৃথিবী বর্ণ। এক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার মা সৈয়দা শাহিন আক্তার রুনাসহ অন্যান্যরা।

লিখিত বক্তব্যে নিহতের স্ত্রী সৈয়দা শাহিন আক্তার রুনা জানান, নিহত বেসরকারি ইবাইস ইউনিভার্সিটির প্রফেসর নিরু রায়হান হিন্দু ছিলেন, তখন তার নাম ছিলো নিরঞ্জন শীল। পরবর্তীতে সে মুসলমান হন এবং ২০০১ সালে তারা বিয়ে করেন। তার স্বামীর তিন ভাই আছেন, তারা হলেন, অমল চন্দ্র শীল, বিমল চন্দ্র শীল ও মনোরঞ্জন শীল। তাদের সাথে বিগত ৫/৬ বছর যাবত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি নিজেরা কিনে রাখার কথা বললে গত ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল নিরু তার পৈত্রিক বাড়িতে যায়। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে দৈ-চিড়া খেতে দেয়া হয়। খাওয়ার পর সে বমি করতে থাকে এবং বিকেল ৩টা ৪৪ মিনিটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। স্থানীয় ধামুরা বাজারে অনেক চিকিৎসক ও হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও তাকে কোথাও না নিয়ে ঘরের ভেতরেই রাখা হয়। নিরুর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ছেলেসহ তিনি ঢাকা থেকে উজিরপুর যাওয়ার পূর্বেই নিরুর মৃতদেহ মাটি চাপা দেয়া হয়। বাড়িতে যাওয়ার পূর্বে নিরুর সাথে থাকা ভোটার আইডি কার্ড, ব্যাংকের এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইউনিভার্সিটির আইডি কার্ড, নগদ ৮০ হাজার টাকা, দুটি ব্যাংকের চেক বই, একটি স্মার্টফোন, সীম, বাড়ির দলিল, ঘরের চাবি কোনো কিছু তাকে দেয়া হয়নি।

তিনি আরও জানান, নিরুর ভাইয়েরা তাদের সন্তানকে বঞ্চিত করতেই তাকে ও নিরুর সন্তানকে অস্বীকার করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সম্পত্তির জন্যই তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দৈ-চিড়ার সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে তিনি ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন (সিআর মামলা নং-১৯৫/২০২০)। আদালত মামলা তদন্ত করতে সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেন।

এদিকে মামলার পর নিরুর ভাই মনোরঞ্জন শীল বরিশালের আগৈলঝাড়ার যুব উন্নয়ন অফিসের চাকরি ছেড়ে দেন। সে সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

 
Electronic Paper