কলাবাগানে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২১
রাজধানীর কলাবাগানে এবার ধর্ষণের শিকার হয়ে মোছা. জান্নাত নামে এক কিশোরী গৃহকর্মী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৩ জানুয়ারি, বুধবার মেয়েটি কাপড় শুকাতে দেওয়ার জন্য ছাদে গেলে বাসার নিরাপত্তাকর্মী মো. জুনায়েদ তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় লজ্জায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় মেয়েটি। পরে খবর পেয়ে কিশোরীর লাশ উদ্ধার ও জুনায়েদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৪ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে মৃত কিশোরীর বয়স নিয়ে পুলিশ ও স্বজনরা ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। স্বজনরা জানিয়েছেন, জান্নাতের বয়স ১৩ বছর। তবে পুলিশ বলছে, তার বয়স ১৭ বছর। মৃতের স্বজনের অভিযোগ, জান্নাতকে হত্যা করে কৌশলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে গৃহকর্তা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, কিশোরীর লাশ যে অবস্থায় পাওয়া গেছে তাতে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিক তদন্তে মেয়েটির ধর্ষণের শিকার হওয়ার তথ্য মিলেছে। এ কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, কলাবাগানের নর্থ সার্কুলার রোডের ৫৮ নম্বর বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিল জান্নাত। বুধবার দুপুরে সে ভেজা কাপড় শুকানোর জন্য নয় তলা ভবনটির ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে নিরাপত্তাকর্মী জুনায়েদ মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করেন। আরেক নিরাপত্তাকর্মী বিষয়টি দেখে ফেলেন। জুনায়েদ তাকে ঘটনাটি গোপন রাখার জন্য চাপাচাপি করেন। তবে সেই নিরাপত্তাকর্মী বিষয়টি গিয়ে গৃহকর্তাকে জানান। এদিকে ধর্ষণের ঘটনা লোকজন জেনে ফেলার লজ্জায় বাসার বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দেয় জান্নাত। পরে কলাবাগান থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। সন্ধ্যায় গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের 'ও' লেভেলের ছাত্রী আনুশকাহ নূর আমিন তার এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ওই ঘটনায় তার বন্ধু ফারদিন ইফতেখার দিহান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।