ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জবির প্রধান ফটকের সামনে যানজট, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

মুজাহিদ, জবি প্রতিনিধি
🕐 ৫:০২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ০৯, ২০২১

জবির প্রধান ফটকের সামনে যানজট, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

রাজধানীর পুরান ঢাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মূল ফটকের সামনের রাস্তা শিক্ষার্থীদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কোন বিকল্প রাস্তা অথবা ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে করে প্রায়ই রাস্তা পার হতে গিয়ে নানা রকম দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান ফটকের সামনে চারটি রাস্তা মিলিত হয়ে চৌরাস্তার রূপ নিয়েছে। গুলিস্তান যাওয়ার জন্য টমটম অথবা লেগুনা জবির গেটের সামনের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে ও যাত্রাবাড়ী এবং ডেমরা যাওয়ার জন্য বাহাদুর শাহ পরিবহন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে অবিরাম। এছাড়াও নদী পথে (সদরঘাট) চলাচলকারী মানুষদের এবং পোস্তগোলা যাওয়ার জন্য এই রাস্তা ব্যবহৃত হয়। লক্ষ্মীবাজার হতে একটি রাস্তা এসে জবির সামনে মিলিত হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি বেশিরভাগ সময়ই থাকে যানজটে। তাছাড়াও যানজট এর অন্যতম কারণগুলা হলো, পাঠাও-এর বাইকগুলা ও রিকশাগুলো গেটের ডান পাশে অবস্থান করে। বিভিন্ন ধরনের টং দোকান (লেবুপানি, জামা কাপড়, দইচিড়া, কাবাব) রাস্তার দুইপাশ দখল করে রেখেছে।

তাছাড়াও গেটের পাশেই ভিক্টর ক্লাসিক, সাভার পরিবহন, তানজিল, বিহঙ্গ, আজমেরী গ্লোরী, ৭ নাম্বার বাসের স্টান্ড হওয়াতে সারাক্ষণ যাত্রী উঠা নামানোর কাজে ব্যস্ত থাকায় যানজটের পরিমান আরও প্রকট হয়। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনের কাজের জন্য অনেক সময় জানঝট লেগে থাকে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুসমিতা আক্তার রিপা বলেন, ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তাটি আমাদের পারাপারের জন্য বেশ ঝুকিপূর্ণ। রিকশা, মোটরবাইক, লেগুনা এখানে বেপরোয়া। গেটের সামনে আসলে যেন তাদের গতি বেড়ে যায়। রাস্তা পারাপার হতে খুব ভয় লাগে। প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় আমাদের এই রাস্তা পার হতে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গেটের সামনের নিরাপত্তা কর্মীদের বিশেষভাবে বলা আছে যেন শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সময় কোন সমস্যা না হয়।

এছাড়াও অতিদ্রুত যানজট নির্মুল করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও ট্রাফিক পুলিশ বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই সমাধান হবে বলেও জানান তিনি।

 
Electronic Paper