ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঢাকার বাজারে ফলের ব্যাপক জোগান

আরিফ শাওন
🕐 ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০

করোনার কারণে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাবারে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ বারবার দিয়ে আসছেন। সে কারণে ফলের চাহিদা এবার বেশি। শীতের শুরুতে রাজধানী ঢাকার বাজারে এখন ফলের ব্যাপক জোগান লক্ষ করা যাচ্ছে। মোড়ে মোড়ে দোকান, গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও অভিজাত শপগুলোয় এখন দেশি-বিদেশি ফলের ব্যাপক সমারোহ। ক্রেতাও বেশ। বিক্রিও ভালো। তাই খুশি বিক্রেতারা।

রাজধানীর বাজারে এখন ছফেদা, জলপাই, আনার, পেঁপে, পেয়ারা, মালটা, আতা, ড্রাগন ফল, গাব, ছোট সাইজের তরমুজ, জাম্বুরা, আনারস, কলা, বাও কুল, কাঠ লিচু, কমলা, আপেল, আঙ্গুর, মনেক্যা, নাশপাতি, নাগ ফল, মালটা, কদবেল, বেলিবেল, সাগর কলা, সবরি কলা, পানিফল, আনার পাওয়া যাচ্ছে। পাশিপাশি আমও পাওয়া যাচ্ছে।

ফলে বাজারে এখন সবচেয়ে বেশি আসছে কমলা। শনির আখড়ার ব্যবসায়ী আবির হোসেন বলেন, তিনি এখন শুধু কমলাই বিক্রি করেন। তিনি জানান, সবুজ-হলদে রঙের খোসার এই কমলা ভারত থেকে আসা। ছোট, মাঝারি ও বড় এই তিন সাইজের কমলা পাওয়া যায়।

এছাড়া একেবারের ছোট আকারের চায়না কমলাও রয়েছে। কিন্তু তা এখন খুব বেশি বিক্রি হচ্ছে না। ইন্ডিয়ান ছোট সাইজের কমলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, মাঝারি ৯০ থেকে ১০০ এবং বড় সাইজের ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

তার পাশে আরেক বিক্রেতা সাগর। তিনি বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রি করেন। তিনি জানান, আঙ্গুর ২২০ থেকে ২৩০, মনেক্যা- (জাম রঙের, দেখতে আঙ্গুরের মত) ৩৫০ টাকা, থাই পেয়ারা আকার ভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মাল্টা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, নাসপাতি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, আনার ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শীতকালীন ফলের মধ্যে আরেকটি অন্যতম ছফেদা। আগে ছফেদা হালি হিসেবে বিক্রি হতো। এখন বিক্রি হয় কেজি হিসেবে। আকার ভেদে কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। সাগর বলেন, ছফেদা বেশি আসে ফরিদপুর থেকে। তিনি আরও বলেন, এখন বাজারে আপেল আছে অন্তত ২০ প্রকার। প্রকার ভেদে দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আরেকজন বিক্রি করেন শুধু পেপে। তিনি বলেন, আকার ভেদে পেপের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

আরেক বিক্রেতা জানান, দেশি ড্রাগন ৪০০ টাকা কেজি। কদবেল বিক্রি হয় পিস হিসেবে। পানি ফলের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
থাইল্যান্ডের আম ৫০০ টাকা করে। কলার মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে সাগর কলা ও সবরি কলা। সাগর কলার হালি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, সবরি কালার হালি ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে।

শনিরআখড়ার আরেক ফল ব্যবসায়ী জানান, থাইল্যান্ডের বড় সাইজের আতাফলের কেজি ৫০০ টাকা। দুটিতে কেজি হয়। থাইল্যান্ডের ড্রাগন ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। থাইল্যান্ডের গাব বিক্রি হয় ৬০০ টাকা করে। দেশি ছোট আকারের তরমুজও পাওয়া যায়। কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা। জাম্বুরা, বেলি বেল এগুলো পিস হিসেবে বিক্রি হয়। দাম নির্ভর করে সাইজের ওপর। কাঠ লিচুর কেজি ৬০০ টাকা। এখন বগুড়ার বাও কুলও পাওয়া যাচ্ছে। কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। ফলের দোকানে আছে আনারস।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- এই দাম রাজধানীর সব জায়গায় এক রকম না। দাম নির্ভর করে মান ও স্থানের ওপর। শনির আখড়ার দাম আর গুলশান, বনানী কিংবা ধানমন্ডি এলাকার দাম এক না। পার্থক্য আছে।

 
Electronic Paper