ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বেতনের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সড়কে যানজট

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১:২১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২০

বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে মিরপুর ওপেক্স ফ্যাশন গার্মেন্টস কারখানার তিন সহস্রাধিক শ্রমিক। ১০ নভেম্বর, মঙ্গরবার সকাল ৮টা থেকে কারখানাটির শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে পাশে মিরপুর-১০ এর আরও ১০টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মিরপুর গোল চক্কর থেকে কচুক্ষেত সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। 

আন্দোলনরত ওপেক্স ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকরা জানান, কারখানাটিতে অনিয়মত বেতন দেওয়া হয়। ৯ নভেম্বর, সোমবার স্টাফদের বেতন দেওয়া হলেও শ্রমিকের বেতন দেওয়া হয়নি। আবার কোনও কর্মকর্তা বলতে পারেনিনি যে শ্রমিকদের বেতন কবে দেবে।

শ্রমিক রোকশানা অভিযোগ করে বলেন, মালিক নিজে এসে ৭ নভেম্বর বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন। ৯ নভেম্বর স্টাফ ও বড় কর্মকর্তারা বেতন নিলেও আমাদের বেতন দেননি। মালিকের অন্য কালখানায় যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় এই কারখানার শ্রমিকদের দেওয়া হয় না। ওপেক্স কাঁচপুরে হারিজয়রা বোনাস দেয় ৬০০ টাকা। এখানে দেয় ৪০০ টাকা।

এ সময় আন্দোলনরত শ্রমিকরা আট দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- সপ্তম কর্ম দিবসের মধ্যে আগের মাসের বেতন দিতে হবে। চাকরি থেকে অব্যাহতি বা অবসরে যাওয়া প্রত্যেক শ্রমিকের প্রাপ্য পাওনা দ্রুত দিতে হবে। চলতি ২০২০ সালসহ আগের সকল বাৎসরিক ছুটির টাকা প্রদান করতে হবে। হাজিরা বোনাস ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করতে হবে। বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ৫ পার্সেন্টস দেওয়া হয়, বাড়িয়ে ১০ পার্সেন্টস করতে হবে। ওভারটাইমের টাকা ব্যতিত কোন শ্রমিককে অতিরিক্ত কাজ করানো যাবে না। অযথা বা অকারণে শ্রমিক ছাটাই করা যাবে না। মাতৃকালিন ছুটির টাকা প্রদান করতে হবে।

শ্রমিকরা জানায় অক্টোবর মাসের ২৯ ও ৩০ তারিখে আগের জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন দেওয়া হয়। এ মাসে শ্রমিকদের না নিয়ে স্টাফরা নিয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের কবে বেতন দেয়া হবে তা স্পষ্ট করে বলেনি। এ কারণেই শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এ বিষয়ে কারখানার কোন কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।

ওপেক্স কারখানা বিক্ষোভ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওপেক্স থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মিরপুর-১০ এ অবস্থিত মুনলাইট, রিসাল, জকি, লোডস্টার, এমবিএম, সারস, ভিশন, লোডস্টার সহ ১০টি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ বিষেয়ে লোডস্টার কারখানার শ্রমিক মুন্না সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমাদের কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হলো ওপেক্স-এর। ওপেক্স-এর সমস্যার কারণে শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। ওখান থেকে আমাদের কারখানায় এসে ভাংচুর করতে পারে এ জন্য আমাদের কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।

 
Electronic Paper