বেশি দামে আলু বিক্রয়, ৭ পাইকারের জেল-জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২০
সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রি করায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি বাজারের সাত পাইকার-আড়তদারকে জেল-জরিমানা করেছে র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।৩১ অক্টোবর, শনিবার দুপুরে কৃষি বিপণন অধিদফতরের সহযোগিতায় র্যাব-৩ এর একটি দল অভিযান শুরু করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু সংবাদ মাধ্যমে বলেন, সরকার হিমাগারে কেজিপ্রতি আলুর দাম ২৭ টাকা, পাইকারিতে ৩০ টাকা এবং খুচরা সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এরপরও অভিযোগ আসে পাইকার-আড়তদাররা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রি করছে।এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাইকারি বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানকার পাইকার আড়তে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে আলু। অর্থাৎ সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশিম যা খুচরা বাজারে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রি করার অপরাধে কৃষি মার্কেটের মেসার্স তানহা এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহাবুদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের জেল, মায়ের দোয়া বাণিজ্যালয়ের মালিক মমিন খানকে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
একই কারণে মুন্সিগঞ্জ বাণিজ্যালয়ের মালিক মোহাম্মদ লিটন শেখকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড, মেসার্স আল্লাহর দান ভাণ্ডারের এম এ হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড, মেসার্স মানিক এন্টারপ্রাইজের মালিক ফারুক হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড, নিউ বিক্রমপুর বাণিজ্যালয়ের মো. হোসেন বাবুলকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং মেসার্স নিউ শাহআলমের মালিক শাহ আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।