ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজধানীর উপকণ্ঠে কাশবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০

রাজধানীর অদূরে সারিঘাট নামে একটা এলাকা আছে। যেখানে শরতে দিগন্তজুড়ে ফুটে থাকে সারি সারি শুভ্র কাশফুল। শরতের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে সেখানে ভিড় করেন রাজধানী ও এর নিকটবর্তী এলাকার অসংখ্য মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষের কাছে সারিঘাটের কাশবন যেন একরাশ আনন্দ আর সাময়িক মুক্তির বারতা। এ কাশবন ঘিরে এটি এখন ব্যস্ত পর্যটন কেন্দ্রে।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রকল্পের ভিতরে আইন্তা এলাকা। ছোট একটি সর্পিল খালের পাশের এ জায়গাটিকে স্থানীয়রা নাম দিয়েছেন সারিঘাট। সারিঘাটের এই কাশবনের দূরত্ব ঢাকা থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার।

সারিঘাটের চারপাশে বিশাল খোলা জায়গাগুলো এখন কাশবনের দখলে। মধ্য আশ্বিনে এই বন এখন ফুলে ফুলে ঢাকা। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ জায়গাটিতে আসছেন কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। শুধু সৌন্দর্য উপভোগই নয়, ছোট্ট খালে নৌভ্রমণ করতেও আসছেন অনেকে। নৌকার পাশাপাশি কায়াকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে কাশবন লাগোয়া খালে।

এখানে সাধারণ দিনে নৌকার ভাড়া প্রতি ঘণ্টা ১৫০-২০০ টাকা এবং কায়াকিং প্রতি ঘণ্টায় ৩০০-৩৫০ টাকা। তবে ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের চাপ থাকায় ভাড়া বেড়ে যায় অনেক। ছোট ছোট এ নৌকায় লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় অনেককেই। স্থানীয়রা জানান সারিঘাটের এ খালটি খনন করায় গভীরতা অনেক বেশি, জায়গাটিতে পানিতে ঢুবে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও আগের বছরগুলোতে।

ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ আসেন কাশফুলের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। অনেকে আনন্দময় মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করতেও ভোলেন না। সারিঘাটের কাশবনে দেখা মেলে টিকটকারদেরও।

ভিতরে আছে আঁকাবাঁকা মেঠোপথ, সেখানে রিকশায় চেপে ঘুরে বেড়ান অনেকেই। এখানে ভাড়ায় পাওয়া যায় ছাতাসমেত চেয়ারও। খাবার নিয়ে ঘুরে বেড়ান ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা। দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারিঘাটের এই কাশবনে অনেক ভিড় থাকে। কাশবনে বেড়াতে এসে অনেকেই দূষণ করে যাচ্ছেন জায়গাটির পরিবেশও। বেড়াতে এসে ফেলে যাচ্ছেন নানা রকম প্লাস্টিক বর্জ্য।

 
Electronic Paper