উপহারের নামে অর্থ আত্মসাৎ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০৮, ২০২০
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলত। পরে দামি উপহার পাঠানোর লোভ দেখিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে অনেক লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত একটি সংঘবদ্ধ চক্র। অবশেষে চার নাইজেরিয়ানসহ সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
আটকরা হলো- অনুয়ারাহ নামাদি (৩২), রুবেন (৪১), মাকদু কেলভিন (৪১), ফ্রানক জ্যাকব (৩৫) এবং টুম্পা আক্তার (২৩)। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত র্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর কাফরুল ও পল্লবী থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৪ থেকে জানানো হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে দামি উপহার পাঠানোর লোভ দেখিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে অনেক লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত এ সংঘবদ্ধ চক্র। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে গত রাত সাড়ে ১২টা থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত র্যাব-৪ এর একটি চৌকস দল রাজধানীর কাফরুল ও পল্লবী থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের চার নাইজেরিয়ানসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
এ গ্রুপের টুম্পা আক্তার নিজেকে বাংলাদেশের একজন কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। গ্রেফতারদের কাছ থেকে দুটি মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট, ব্যাংকে অর্থ জমাকৃত বই, চেকবই, ১২টি মোবাইল, একটি প্রাইভেট জিপ, নগদ তিন লক্ষাধিক টাকাসহ হোয়াটসঅ্যাপ-ইমো-ফেসবুকে কথোপকথনের স্ক্রিনশটের কপি জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় থাকা নাইজেরিয়ান নাগরিকদের একটি চক্র অভিনব কায়দায় বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-হোয়াটস অ্যাপ, ইমো, ফেসবুক ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেদের আমেরিকান নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিত।
পরে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির পর একপর্যায়ে দামি উপহার বাংলাদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার জাল বিছানো হয়। কিছুদিন পর বাংলাদেশের কাস্টম অফিসার পরিচয়ে এক নারী উপহার আসার কথা বললে তার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে এবং পার্সেলটি ছাড়াতে কাস্টমস ভ্যাট/শুল্ক বাবদ টাকা জমা দিতে হবে বলে জানায়।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগী সেই বিদেশি প্রতারক বন্ধুকে জানালে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা পাঠানোর কথা বলে লাখ লাখ টাকা পাঠানোর কথা বলে এবং শেষে সে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং তাদের দেওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অন্যান্য সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চলছে।