ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দুই শিশুসহ স্ত্রী হত্যা

দেনায় জর্জরিত ছিলেন পলাতক রাকিব

এম কবীর
🕐 ১০:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০

রাজধানীর দক্ষিণখানের ফ্ল্যাট থেকে মা ও দুই শিশুসন্তানের লাশ উদ্ধারের পর বাসায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হওয়া ডায়েরির লেখা ‘বাচ্চাদের মেরে ফেললাম, আমার লাশ রেললাইনে পাওয়া যাবে।’ এই বার্তা নিয়ে হত্যারহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, পিবিআই ও গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। ঘটনার ক্লু বের করতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা।

তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, আলামত ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এটা হত্যাকাণ্ড বলেই দাবি করছেন। এই ক্ষেত্রে সন্দেহভাজন হিসেবে গৃহকর্তা বিটিসিএলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবউদ্দিন ভূঁইয়ার খোঁজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে রাকিবকে একমাত্র আসামি করে মামলাও রুজু হয়েছে।

দক্ষিণখানের চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একাধিক টিম।

ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, তিন মরদেহ অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। নিখোঁজ গৃহকর্তা রাকিবের সন্ধান পেলে রহস্যের জট খুলবে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, রাকিব অর্থনৈতিকভাবে খুব বিপর্যস্ত ছিলেন, বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিলেও তিনি তা পরিশোধ করতে পারেননি।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, রাকিবকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণখান এলাকায় দেখেছে অনেকেই। ঘটনার আলামত, আত্মীয়স্বজনের বক্তব্য ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে এটা স্পষ্ট যে, তিনজনই হত্যার শিকার এবং সন্দেহজনকভাবে গৃহকর্তা রাকিবই জড়িত। তার অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছে র‌্যাব।

এ ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করে যাচ্ছে পিবিআই ও পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের দাবি স্ত্রী-সন্তান হত্যার আলামত অনুসারে হত্যার সন্দেহের তালিকায় গৃহকর্তাই।

এদিকে, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহত মুন্নীর ভাই মুন্না রহমান। দক্ষিণখান থানায় দায়ের হওয়া মামলায় (নং ২৪) আসামি করা হয়েছে রাকিব উদ্দিনকেই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, রাকিবের খোঁজ পেলেই হত্যার রহস্যের জট খুলবে। জব্দকৃত আলামত বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

 
Electronic Paper