অগ্নিঝুঁকিতে ঢাকার আবাসিক হোটেল
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চলছে রাজধানীর অধিকাংশ আবাসিক হোটেল। দুর্বল অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে ৩২৬টি হোটেলের মধ্যে অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে ৩১৭টি। ইতোমধ্যে ২৪৭টি হোটেল কর্তৃপক্ষকে এক মাসের মধ্যে তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বেশির ভাগ হোটেলে অগ্নিনির্বাপণের নির্দেশিত ব্যবস্থা নেই। বিদেশি এনজিও ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসে যেসব ঝুঁকিপূর্ণ হোটেলে ওঠেন, এমন ৩০টি হোটেলের নাম পাঠানো হয়েছে ফায়ার সার্ভিস বিভাগকে। ঢাকার সাতটি পাঁচ তারকা হোটেলসহ ওই ৩০টি আবাসিক হোটেলকে সতর্ক করে ফায়ার সার্ভিস চিঠি দিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস বিভাগের পরিচালক (অপারেশন, মেনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, জাতিসংঘ থেকে আমাদের ই-মেইলে হোটেলের তালিকা দেওয়া হয়েছে। তালিকায় থাকা ৩০টির সবগুলোই ঢাকায় অবস্থিত। বিদেশিরা এই ৩০ হোটেলেই বেশি ওঠেন বলে জাতিসংঘ আবাসিক অফিসের ধারণা। ফায়ার সার্ভিস এককভাবে চেষ্টা চালালে হবে না। যেহেতু তারা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয় এবং ভবনগুলোর তদারকি করেন, সেহেতু রাজউক ও সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে।
এ সমস্যা সমাধানে ডিএনসিসি কী ভূমিকা নিয়েছে, জানতে চাইলে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনের ভেতরে যেসব তারকাখচিত আবাসিক হোটেল আছে, সেগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদন বলছে, দেশে পর্যটন কর্পোরেশনের অনুমোদিত হোটেল সংখ্যা ১৭টি। এগুলো হলো-হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, রেডিসন ওয়াটার গার্ডেন হোটেল, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড, হোটেল সারিনা লিমিটেড, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, লা মেরিডিয়ান ঢাকা, ডরিন হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড, রেনেসান্স হোটেলস, সীগাল হোটেল লিমিটেড, ওসেন প্যারাডাইস লিমিটেড, সায়মন বীচ রিসোর্ট লিমিটেড, রেডিসন ব্লু বে ভিউ, রয়্যাল টিউলিপ সী পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ, মম ইন লিমিটেড, হোটেল জাবীর প্যারাডাইস লিমিটেড। ১৭টির মধ্যে নয়টি হোটেল শর্ত পূরণ করলেও আটটি ঝুঁকিতে রয়েছে।