রাজধানীর বাজারদর
শীতেও তপ্ত নিত্যপণ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:২০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
পেঁয়াজের দামে চলেছে সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি। ৩০০ ছাড়িয়ে পেঁয়াজের দাম এখন ২০০ টাকার উপরে অবস্থান করছে। রাজধানীর কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ এখন সব থেকে বেশি দামি পণ্যের তালিকায় সবার উপরে স্থান করে নিয়েছে। এর মধ্যে আবার সব ধরনের সবজিই তার উত্তাপ উগরে দিয়েছে। এতে ক্রেতাদের এতটুকুও স্বস্তি নেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মোহাম্মদপুর, রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও, শান্তিনগর, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল রাজধানী ঢাকার রামপুরা বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজের মূল্য কেজিপ্রতি ২২০ টাকা, মিসরের পেঁয়াজ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। এদিকে শীতের আগাম শাক-সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক, মুলা শাক, সরিষা শাক, মুলা, শালগম, শিমের ভরপুর সরবরাহ থাকলেও দাম আকাশছোঁয়া। গত সপ্তাহে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে অবশ্য সরবরাহ বেশ কমে যায়।
বাজারে দামি সবজির তালিকায় আছে-গাজর, বরবটি, শিম, নতুন আলু, লাউ টমেটো। এর মধ্যে, নতুন গোল আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। শিম, গাজর ও বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বাজারে সব থেকে ভালো মানের পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। লাল কক মুরগির কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা।
বাজারে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকায়। সোনালি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকার মধ্যে। আর বাজারভেদে বয়লার মুরগির ১২৫-১৩০ টাকা। গরুর মাংস ৫৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রুই মাছ বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪৫০ টাকা কেজি, পাবদা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০-৭০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-১৮০ টাকা ও পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, সরপুঁটি ১৬০-২০০ টাকা, চাষের কই ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গত সপ্তাহে সব ধরনের চালের কেজিতে ৫-৭ টাকা বেড়েছে। মিনিকেট চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি নাজির শাইল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮ নম্বর ৪২-৪৪ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি মসুর ডাল (দেশি) ১১০ টাকা, মসুর ডাল মোটা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, ভোজ্য তেল প্রতি লিটার খোলা ৯০ টাকায় ও বোতলজাত ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
