রাজধানী সুপার মার্কেটে আগুন
৫০ কোটি টাকার ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৯
ঢাকায় টিকাটুলীতে অবস্থিত রাজধানী সুপার মার্কেটে আগুনে ৫০টির মতো দোকান পুড়ে গেছে। এতে ৫০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত পৌনে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার পলাশ চন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক দিলীপ কুমার ঘোষ জানান, বুধবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ওই দোতলা টিনশেড মার্কেটে আগুন লাগার খবর পান তারা। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, মার্কেটের দোতলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে ৫০টি দোকান পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা দেখেছি। ওয়ারি থানার ওসি আজিজুর রহমান এ কথা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে দোতলার একটি ইউনিটে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে তারা ছুটোছুটি শুরু করেন। মার্কেটের দোতলায় যে পাশে আগুন লাগে সেখানে বেডশিট, কাপড়, টেইলার্সের ৩০-৩৫টি দোকান ছিল।
অল্প সময়ের মধ্যে মার্কেটের অন্য ইউনিটগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একজন জুয়েলার্স মালিক বলেন, নিচতলায় তার দোকানসহ মোট ৪৩টি গয়নার দোকান আছে। আগুন লাগার পর প্রাণ হাতে নিয়ে বেরিয়ে আসার সময় শাটার নামানো হলেও অনেকে তালা মারতে পারেননি।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে চালু হওয়া রাজধানী সুপার মার্কেটের পাশেই তুলনামূলক ছোট জায়গা নিয়ে পরে গড়ে ওঠে নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট। দোতলা মার্কেটের উপরে ৭৭টি এবং নিচে ৭৭টি দোকান রয়েছে বলে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ভাষ্য। তবে কীভাবে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হলো, তা এখনো জানা যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবরও পাওয়া যায়নি।
আরও জানা গেছে, আগুন লাগার পর পাশের অভিসার সিনেমা হল সংলগ্ন রাস্তা এবং মতিঝিল শাপলা চত্বর, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ এবং দয়াগঞ্জমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ সদস্যরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে ভিড় সামলানোর চেষ্টা করেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর নিচতলার গয়নার দোকানের মালিকরা যার যার দোকানের সামনে অবস্থান নেন।
ওয়ারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই এলাকার মার্কেটগুলো বন্ধ থাকে রোববার। আগুন যখন লাগে তখন সব দোকানই খোলা ছিল। বিকালে মার্কেটের পূর্ব দিক থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এরপর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যবসায়ী ও অন্যরা বেরিয়ে আসেন। বহু দূর থেকেও এলাকায় আগুন ও ধোঁয়া দেখা যায়।