ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভোলায় সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীতে হেফাজতের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৯

ভোলার বোরহানউদ্দিনে তৌহিদি জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম। মঙ্গলবার যোহরের নামাজের পর পরই বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন হেফাজতে ইসলামের সদস্যরা। এ সময় আশপাশের সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে। সমাবেশে তারা মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)কে কটূক্তিকারী ও ভোলার সংঘর্ষের ঘটানায় কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. আল্লাহ তা’আলা ও মহানবী (সা.)-এর কটূক্তিকারীকে গ্রেফতার।
২. ভোলার ঘটনায় নিহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা।
৩. আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার ও সুচিকিৎসা গ্রহণ করা।
৪. গুলি বর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ।
৫. গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহার করা।

প্রসঙ্গত, বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য শুভ নামের এক যুবক শুক্রবার রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় গিয়ে একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি তার ফেইসবুক আইডি হ্যাকারের কবলে পড়ার কথা জানান। শুভর মেসেঞ্জারে নবীকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য ছড়িয়ে সেই স্ক্রিনশট ব্যবহার করে গত শুক্রবার থেকে বোরহানউদ্দিনে উত্তেজেনা সৃষ্টি করা হয়। এরপর শুভর বিচারের দাবিতে রোববার বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ ময়দানে মুসলিম তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। উপজেলা সদরে দুই ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে চারজন নিহত হন, আহত হন ১০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক। সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের দিকে গুলিও ছোড়া হয়; তাতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।

সংঘর্ষে যে চারজন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুজনের মাথা ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে থেঁতলানো ছিল বলে চিকিৎসকের বরাতে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। ওই ঘটনায় ভোলার অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার দিনগত রাতে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবিদ হোসেন এ মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে মুসলিম ঐক্য পরিষদ নামে স্থানীয় কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠনের একটি জোট পুলিশ সুপারের অপসারণসহ ছয় দফা দাবি জানাচ্ছে। দাবি মানতে প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন ঐক্য পরিষদের নেতারা।

 
Electronic Paper