ঢাকায় গ্রেফতার লাদেনের সহযোগী হুজিবি’র শীর্ষ জঙ্গি নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ২:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
সৌদি আরব থেকে আসা হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী, বাংলাদেশ (হুজিবি)-এর শীর্ষ এক জঙ্গি নেতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার নিকুঞ্জ ২-এর বড় মসজিদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার এক প্রেস বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ।
হুজিবি’র এই শীর্ষ জঙ্গির নাম আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার (৪৯)। তার দুই সহযোগী হলো মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম (৪৫) ও বোরহান উদ্দিন রাব্বানী (৪২)।
আতিকুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে অবস্থান করে দেশে হুজিবিকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল। গত মার্চে সে দেশে আসে। তার বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিএমপি জানায়, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার হুজিবির মুফতি হান্নানের ১৯৯৬ সালে গঠিত কমিটির সাংগাঠনিক সম্পাদক। পরবর্তীতে বায়তুল মাল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে দায়িত্বরত ছিলেন। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথমদিকে তিনি দুবাই হয়ে সৌদি আরব পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন এবং সাংগঠনিক কাজে একাধিকবার পাকিস্তান যান।
দীর্ঘদিন বিদেশে পলাতক থেকে এ বছর মার্চে দেশে ফিরে সংগঠনের পুরাতন সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় করা এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ করে সংগঠনের কার্যক্রম চালু করার মিশন নিয়ে ব্যাপক কর্মতৎপরতা চালায়। পাকিস্তান, দুবাই ও সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের জঙ্গি সংগঠনের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। আফগানিস্তানে যুদ্ধকালীন সময়ে ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, আইমান আল জাওয়াহেরীসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন তিনি।
সিটিটিসির উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আতিকুল্লাহ হুজিবিকে নতুন করে সংগঠিত করার জন্য দেশে এসেছিল। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার অন্যান্য সহযোগী সম্পর্কে এবং তারা কী পরিকল্পনা করছিল, তা জানার চেষ্টা করা হবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেফতার অপর দুজন মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি এবং মো. বোরহান উদ্দিন রাব্বানী ফেনি জেলার দায়িত্বশীল ছিলেন বলে জানা যায়। তারা বর্তমানে কাশ্মীর সমস্যা এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে পরস্পর যোগসাজশে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন বলে জানায় ডিএমপি।