রাজধানীর বাজারদর
বৃষ্টিতে চড়া নিত্যপণ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
শীতের আগাম সবজি শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলার সরবরাহ বাড়লেও রাজধানীর বাজারে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পিয়াজও। সরকার পিয়াজের দাম কমার আশ্বাস দিলেও বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। তবে সবজির বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টি না হলে হয়তো দাম কমে যেত।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারে শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। ছোট আকারের প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। শীতের আগাম সবজির সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ, টমেটো, করলা, গাজর, ঝিঙে, বরবটি, বেগুন, পটল, ঢেঁড়স, ধুন্দলসহ সব ধরনের সবজি। ছোট আকারের লাউ আগের সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা পিস। পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি।
গাজর বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। করলা ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, চিচিংগা, ঝিঙা, ধুন্ধল ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা কমেছে কাঁকরোলের দাম। বাজার ভেদে কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা কেজি। তবে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে ও মিষ্টিকুমড়া। পেঁপে আগের সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা কেজি। আর মিষ্টি কুমড়ার ফালি পাওয়া যাচ্ছে ২০-২৫ টাকার মধ্যে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মাসুদ মিয়া বলেন, বাজারে আস্তে আস্তে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে দাম কমছে না। তবে বৃষ্টি কমে গেলে সবজির দাম কমে যাবে। এদিকে ভারতীয় পিয়াজের আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে গত দুই সপ্তাহ থেকে রাজধানীর বাজারগুলোতে পিয়াজের দাম এক লাফে কয়েকগুণ হয়। গত দুই সপ্তাহে পিয়াজ এক লাফে ৮০-৯০ টাকা হয়ে যায়। পিয়াজের এমন দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার থেকে খোলাবাজারে পিয়াজ বিক্রি শুরু করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
খোলা বাজারে পিয়াজ বিক্রির পাশাপাশি মঙ্গলবার পিয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে করণীয় ঠিক করতে সরকারি বিভিন্ন দফতর, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৈঠকের পর নতুন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল বিরুনি ঘোষণা দেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিয়াজের দাম কমবে। তবে ২৪ ঘণ্টার বদলে তিন দিন পার হলেও পিয়াজের দাম কমেনি। গত কয়েকদিনের মতো ভালো মানের দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি। আর আমদানি করা পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি।