অর্ধেক বাড়িই এডিস উপযোগী
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীরা প্রায় ৭৪ হাজার বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছেন। আর ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার ‘প্রজনন উপযোগী পরিবেশ’ দেখতে পাওয়ার কথা বলেছেন তারা। রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পর গত ২৫ আগস্ট থেকে ঢাকা উত্তরের প্রতিটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার খোঁজে ‘চিরুনি অভিযান’ শুরু হয়।
‘এডিস মশা ধ্বংসকরণ ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ নামের এই কর্মসূচিতে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সাত দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডের ৭৩ হাজার ৮১৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা। অভিযানের সময় ১ হাজার ৫৪০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়, যা পরিদর্শন করা মোট বাড়ির ২ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এ ছাড়া ৩৯ হাজার ৫৯৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশ বিস্তারের উপযোগী স্থান এবং দীর্ঘদিন জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এই সংখ্যা মোট পরিদর্শন করা বাড়ির ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনিবারও উত্তর সিটির ৩৬টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার ৫৩৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। এ সময় ১৬২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। সেখানে ‘এ বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে দেন তারা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে হোল্ডিং নম্বরধারী বাড়ি বা স্থাপনা আছে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার। সব বাড়িতেই এ অভিযান চালানো হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অভিযানে সম্পৃক্ত সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষের ‘সচেতনতার অভাব ও দায়িত্বহীনতাই’ এডিস মশার বিস্তারের বড় কারণ।
উত্তর সিটির আওতাধীন গুলশান, বনানী, বারিধারা ও উত্তরার মতো অভিজাত এলাকায় এডিসের লার্ভা ও মশার প্রজননের উপযোগী পরিবেশ বেশি পাওয়া গেছে বলে জানান উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাজিদ আনোয়ার।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ বাড়ির বাসিন্দাই এডিসের প্রজননস্থল নিয়ে ভুল ধারণা পোষণ করেন।
এসব এলাকার বাড়িগুলোতে বাড়ি সাজানোর উপকরণ, ফুলের টব ব্যবহার করা হয় অনেক বেশি। অনেক বাড়ির ছাদে ফুলের টবে জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অনেক ছাদের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে মালিকের সংখ্যা বেশি থাকে। এ কারণে পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব কার- এ নিয়ে টানাপড়েনের কারণেও এসব বাড়িতে এডিসের জন্ম হচ্ছে বলে মনে করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ।